করোনা ইস্যু : সিলেটে সিন্ডিকেটের কবলে নিত্যপণ্যের বাজার

প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২০

করোনা ইস্যু : সিলেটে সিন্ডিকেটের কবলে নিত্যপণ্যের বাজার

অথিতি প্রতিবেদক :: সামনে রমযান মাস। প্রতি বছর রমযান আসলে সিন্ডিকেট তৈরি করে বাড়িয়ে দেয়া হয় জিনিষপত্রের দাম। এবছর রমযান আসার পূর্বমুহূর্তে সিলেটে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী চক্র। পাইকারী বাজারে পণ্য সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে মজুতকৃত পণ্যের দাম দ্বিগুণ করেছে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সিলেটের পাইকারি বাজার কালিঘাট ও চালিবন্দর প্রতি কেজি পেয়াজ ৭৫ টাকা (পাকিস্তানি), দেশি ৮০ টাকা, রসূন ছোট ৯০ টাকা, রসূন বড় ১৫০ টাকা, আদা ১২০ টাকা, আলু ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেয়াজে, রসূনের দাম বেড়েছে দ্বিগু। কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

প্রতিদিনের ব্যবহার্য প্রত্যেক জিনিষপত্রের দামও ক্রমাগত বাড়ছে। সব কিছুর দাম বাড়ছে, এমন সংবাদ প্রচার করে সিন্ডিকের চক্র জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে। ‘ প্রতি ঘন্টায় সবকিছুর দাম বাড়ছে, এখনই কিনে রাখুন’ মুঠোফোনে এমন সংবাদ গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারের ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেয়ায় অনেকে ট্রাক ভরে পণ্য মজুত করছেন। গুজবে কান দিয়ে খুচরা বাজার থেকে জনসাধারণও বেশি দামে পণ্য ক্রয় করতে বাজারে ভিড় করছেন।

সরজমিন সিলেটের পাইকারী বাজার কালিঘাট ও চালিবন্দর ঘুরে তার সত্যতা পাওয়া গেছে। চালি বন্দরের ব্যবসায়ীদের দোকানে পেয়াজ, রসূন, আলু থাকার পরও তারা বিক্রি করছেন না। ক্রেতা কিনতে গেলে জানানো হয় এসব বিক্রি হয়ে গেছে। কোনো দোকানদার আবার বিক্রি করছেন ইচ্ছামত দামে।

চালি বন্দরের রুহিত বাণিজ্যালয়ের মনির জানান, বাজারে দাম বাড়ায় আমরাও দামে বিক্রি করছি। তবে কালিঘাটের আল আমিন ট্রেডার্সের দোকান মালিক বলেন, করোনাভাইরাসের কারনে পণ্যের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। আরো দাম বাড়বে বলে আগাম জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

রমযানের জন্য পণ্য ক্রয় করতে আসা আরিয়ান আহমদ জানান, গতকাল যে পেয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে সে পেয়াজ আজ ৭০ টাকা, ৮০ টাকার রসূন ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি বাড়ায় কম কম পণ্য কিনেছি। সিন্ডিকেট চক্রের লাগাম টানতে সরকারের বাজার মনিটরিং করার দাবি জানান তিনি। সরকারের ভ্রাম্যমাণ আদালতকে অভিযান দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন একাধিক ক্রেতা।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..