হাটবাজার নিলাম: সিন্ডিকেট গ্রুপের রোষানলে জৈন্তাপুরের ইউএনও নাহিদা পারভীন!

প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২০

হাটবাজার নিলাম: সিন্ডিকেট গ্রুপের রোষানলে জৈন্তাপুরের ইউএনও নাহিদা পারভীন!

Manual1 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দশ কোটি টাকায় হাটবাজার নিলামের সন্দেহের তীর এবার ইউএনও নাহিদা পারভীনের দিকে। সিন্ডিকেট গ্রুপদের সাথে যোগসাজশ সর্ম্পক রয়েছে কি না এনিয়ে চলছে গুঞ্জন। সরকারী হরিপুর হাটবাজারটি নিলামের পর এই সন্দেহ’র জন্ম দিয়েছে। কারন সরকারী নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে আজ প্রায় সপ্তাহখানেক দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারনে কথিত ইজারাদারের লিজ বাতিল করতে পারেন নি তিনি। পাশাপাশি অর্ধকোটি টাকার বাজার এখন ১০কোটি টাকা হওয়াতে বিষয়টি আরো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। জনমনে চলছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া। নিরব ভুমিকা পালন করছেন জৈন্তাপুর উপজেলা ইউএনও নাহিদা পারভীন। যদিও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে ১০কোটি টাকার হাটবাজার নিলামের সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সহ সামাজিক ও যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু ইউএনও’র নীরবতা প্রমাণ করছে যে, তিনি সিন্ডিকেট গ্রুপদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন। গোপনে কোটি কোটি টাকার কাজও ছাড়ছেন। এমনটি ধারণা করছেন স্থানীয় উপজেলার সচেতন মহল।

 

Manual8 Ad Code

এছাড়া পাহাড়সম অভিযোগ রয়েছে নাহিদা পারভীনের বিরুদ্ধে জৈন্তাপুর উপজেলার ৫নং-ফতেহপুর ইউনিয়ন এলাকায় রয়েছে বেশক’টি জঙ্গল বেষ্টিত (টিল) পাহাড়া। সেই টিলা কেটে নির্বিচারে ধ্বংস করছে বিত্তবান লোভি কতিপয় কর্তাব্যক্তি। আর তাদের শেল্টারদাতা গডফাদার হলেন সেই ইউএনও নাহিদা পারভীন। অনেকে আইনি সহযোগীতা চাইলেও সরকারী মুটোয়ফোন তার রিসিভ হয়না। তারমানে কি স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট গ্রুপের রসানলে পড়ে ইউএনও হাতিয়ে নিচ্ছেন কাড়ি কাড়ি টাকা?

 

Manual4 Ad Code

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি প্রতিবেদককে জানিয়েছেন প্রশাসনকে ম্যনেজ করে শ্যামপুর এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কেটে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে এই সিন্ডিকেট গ্রুপ। এইভাবে চলছে তার কর্মকান্ডের লীলাখেলা। তবে সবচেয়ে বেশি তাক লাগিয়ে দিয়েছে অর্ধকোটি টাকার হাট বাজার ১০কোটি টাকায় প্রকাশ্যে নিলামের বিষয়টি। যা তিনি অতি গোপনে এড়িয়ে যাওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। দায় সাড়া ভাব প্রমাণ করে যে, ইউএনও পকেট ভারী করে নিয়েছেন। নতুবা কিভাবে অর্ধকোটি টাকায় ইজারাপ্রাপ্ত জহির উদ্দিন ফের প্রকাশ্যে ১০কোটি টাকা আজির রহমানের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে সেই বাজারটি পূণরায় নিলাম দিলেন?

 

এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে সরকার বাহাদুর হতে জহির উদ্দিন বাজার ইজারা নিয়ে কৌশল অবলম্বন করে আজির রহমানের কাছ থেকে এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সেই বাজারের একটি কিস্তির টাকাও নাকি গোপনে ব্যাংকে দাখিল করেছেন। বাকি ৯ কোটি টাকা এই মার্চ মাসের ভেতরেই নাকি তিনি জহির উদ্দিনের নিকঠ সমজিয়ে দিবেন। অথচ ইউএনও বলছেন অন্যকথা। টাকা জমা দিলে নাকি তিনি জানার কথা কিন্তু তাও তিনি জানেন না। সেটাও নাকি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পড়ে। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, হাটবাজার নিলামের কোন নীতিমালায় রয়েছে সরকার থেকে লিজ প্রাপ্তরা লিজ নিয়ে প্রকাশ্যে বাজার ফের নিলাম দেওয়ার? সেটা কি আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে? তার মানে নীতিমালার ৯নং-কলামে কি লেখা রয়েছে হয়েতো ইউএনও নিজেই জানেন না! তার উপরে আবার দশ কোটি টাকার ‘হলি খেলা।’ সেই টাকার আয়ের উৎস কি? আজির রহমানের ব্যাংক ব্যলেন্স কতো, টাকাগুলো সাদা না কালো কোনটাই তোয়াক্কা করছেন না ইউএনও নাহিদা পারভীন!

 

”বাংলাদেশ সরকার যখন কালো টাকার মালিকদের বের করতে বা আইনের আওতায় আনতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ঠিক তখনি ইউএনও তাদেরকে শেল্টার দিলেন।”

Manual5 Ad Code

অন্যদিকে কি সেই দশ কোটি টাকার মালিক আজির রহমান নিজেকে রক্ষা করতে বলবেন এ টাকাগুলো অন্যের কাছ থেকে ধার নেওয়া হয়েছে ‘না, কোনটি? তবে লক্ষ্যনিয় বিষয় হলো ইউএনও’র সরকারী ই-মেইলের ঠিকানার ভেতরেই রয়ে যাচ্ছে থলেড় বিড়াল। দশ কোটি টাকা প্রকাশ্যে নিলামের একাধিক ভিডিও ফুটেজ। এতকিছুর পরেও নাহিদা পারভীন বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নিতে বিভিন্ন ধরণের কৌশল অবলম্বন করছেন। ইজারাদারদেরও শিখিয়ে দিচ্ছেন কৌশলগত দিক নির্দেশনা অবলম্বন করতে। যাতে সেখান থেকে অতি সহজেই তারা রক্ষা পেতে পারেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হরিপুর হাটবাজার লিজের পূর্বে মোট ৩১টি শিডিউল বিক্রয় হয়। এরমধ্যে মাত্র ৩টি গ্রুপ টেন্ডার ড্রপ করে। এতে দেখা যায় রহস্যের আড়ালে রহস্যে কাজ করছে ! এ বাজার নিয়ে চিনিমিনি খেলার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সিন্ডিকেট গ্রুপ তথা ইউএনও নিজে। তাহলে দায় সাড়া ভাব নিয়ে কিভাবে ইউএনও এতো বড় গলায় কথা বলছেন। এদিকে সত্য ঘটনা প্রকাশে প্রতিবেদক’কে বিভিন্ন মাধ্যমে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা মোকাদ্দমা, প্রাণনাশ সহ হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে ইউএনও’র পালা সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট বাহিনীরা। তবে সচেতন মহল মনে করেন, এরকম দুর্ণীতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও গোয়েন্দাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

 

Manual5 Ad Code

এই সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জানতে ইউএনও’র মুটোয়ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে একাধিকবার ‘কল’ রিং হলেও মুটোয়ফোনটি রিসিভ হয়নি। এ ব্যাপারে বাজার নিলাম গ্রহীতা আজির রহমানের সাথে কথা হলে তিনি দশ কোটি টাকায় হরিপুর হাট বাজারটি প্রকাশ্যে নিলাম নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।

সূত্র- সিএন বাংলাদেশ

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..