ওসির সামনেই ধর্ষণ মামলার সাক্ষীকে বেদম পেটালো আসামিপক্ষ

প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২০

ওসির সামনেই ধর্ষণ মামলার সাক্ষীকে বেদম পেটালো আসামিপক্ষ

Manual4 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পাবনায় ধর্ষণ মামলার এক সাক্ষীকে পুলিশ ডেকে নেওয়ার পর পুলিশের সামনেই মেরে হাড় ভেঙে দিয়েছে ধর্ষণকারীর সহযোগীরা। হামলার সময় সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. খাইরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও ভুক্তভোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেননি। গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সিসিটিভি ফুটেজে হামলার সময় পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দেখা গেলেও বিষয়টি আকস্মিক দাবি করে, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশ।

আব্দুল আলীম নামে এই সাক্ষীকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আলীম সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে।

তিনি বলেন, এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার সাক্ষী তিনি। এই মামলার প্রধান আসামি মালিগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শরিফ।

আলীম বলেন, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম মামলা তদন্তের বিষয়ে কথা বলার জন্য গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে আমাকে গাছপাড়া মোড়ে ডেকে নেন। আমি সেখানে গেলে পুলিশের সামনেই চেয়ারম্যান শরিফের ছোট ভাই আরিফুল ও তার লোকজন আমাকে লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায়। পরে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে মোটরসাইকেলে করে চলে যায়। মারধর শুরুর পর পরিদর্শক খাইরুল চলে যান।

Manual6 Ad Code

পরে স্থানীয়রা তাকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

Manual5 Ad Code

আলীমের মা আলেয়া খাতুন এ ঘটনার বিচার চেয়ে বলেন, আমার ছেলেকে পুলিশ ডেকে নিয়ে আসামিপক্ষের লোকজনের হাতে তুলে দেয়। তারা তাকে পিটিয়ে জখম করে।

Manual2 Ad Code

প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে বলেন, পুলিশ একজন সাক্ষীকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে আসামিপক্ষের লোকজনের হাতে তুলে দিল। আমরা অবাক হয়েছি। পুলিশ এমন কাজ করতে পারে তা ভাবতেই পারছি না। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

ঘটনাস্থলের পাশের একটি দোকানের ভিডিও ফুটেজে মারধরের সময় পুলিশের পরিদর্শক খাইরুল ইসলাম ও একজন কনস্টেবলকে দ্রুত চলে যেতে দেখা গেছে।

এবিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, হামলার ঘটনাটি আকস্মিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতি আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) শামিমা আক্তারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে আহত আব্দুল আলীমের স্ত্রী রুমা খাতুন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..