সিলেট ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধি :: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পাথর উত্তোলনের সময় ৫দিনের ব্যবধানে আরো এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম লিটন মিয়া (২৩)। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো ৩ জন পাথর শ্রমিক। তারা হলেন আবু তাহের, শাহিন ও পাবেল। তাদের সবার বাড়ী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দৌলরা গ্রামে।
জানা গেছে, সোমবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় শাহ আরেফিন টিলায় আইয়ুব আলী মালিকানাধীন পাথরের গর্তে পাথর উত্তোলনের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। হঠাৎ পাথরের গর্তের পাড় ভেঙ্গে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে লিটন মিয়া মারা যান। গুরতর আহত হন আবু তাহের, শাহিন ও পাবেল নামের ৩ শ্রমিক। তাদেরকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে শ্রমিক নিহতের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কোয়ারী মালিক পক্ষের লোকজন নিজের দায়ভার অন্যের কাধে চড়াতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। সূত্রে জানা যায় কোয়ারী মালিক আইয়ুব আলী নিহতের ঘটনাটি অন্যের কাধে চড়াতে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে গোপনে ইন্ধন জোগাচ্ছে।
এবিষয়ে কোম্পনীগঞ্জ থানার ওসি সজল কুমার কানুর সরকারি নম্বারে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি মুটো ফোন রিসিভ করেন নি। বিদায় ওসি কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
গত ১৬ জানুয়ারি ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির কালাইরাগে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় এক পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বোমা মেশিনের বেল্ট ছিঁড়ে এই শ্রমিক গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পাথর শ্রমিকের নাম আবদুছ ছালাম (৪০)। সে উপজেলার পুরান বালুচর গ্রামের হাছন আলীর ছেলে।
এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী সুষমা আখতার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
তবে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd