ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : হবিগঞ্জের মাধবপুরে যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূকে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিত গৃহবধূকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেণ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বৈষ্ণবপুর গ্রামে। এ ব্যাপারে গৃহবধূ ফারজানার ভাই শাহাদাত হোসেন নয়ন বাদি হয়ে বোনের স্বামী শফিকুল ইসলাম বাবুলকে প্রধান আসামি করে মাধবপুর থানায় শনিবার সকালে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দেবপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর মেয়ে ফারজানা আক্তার হেপিকে ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই বিয়ে দেওয়া হয় উপজেলার বৈষ্ণবপুর গ্রামের মৃত ইমতিয়াজ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে। বিয়ের সময় সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও বিভিন্ন মালামাল দেওয়া হয়। বিয়ের ২ বছর পর শফিকুল ইসলাম বাবুল বিদেশ যেতে ফারজানার পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ফারজানার পরিবার ৩ লাখ টাকা দিয়ে তাকে বিদেশ পাঠান। বছর তিনেক বাবুল বিদেশ থেকে দেশে চলে আসে। দেশে আসার পর বাবুল বেকার হয়ে গেলে আবার ফারজানাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দিলে শুক্রবার ফারজানাকে তার স্বামী বাবুল ঘরে আটক রেখে অমানষিক নির্যাতন করেন। এতে ফারজানার মুখের এক পাশ মারাত্মক জখম হয়। খবর পেয়ে ফারজানার ভাই মাধবপুর থানা পুলিশ সঙ্গে নিয়ে ফারজানার শ^শুর বাড়িতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় সেখানে কর্মরত চিকিৎসক ফারজানাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এব্যাপারে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Sharing is caring!