সিলেট ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে শাহ আরফিন টিলায় চলছে পাথার খেকোদের ধ্বংস লীলা। পাথর খেকোদের রয়েছে বিশাল একটি চক্র। এই চক্রটি দিনের আলোয় ও রাতের অন্ধকারে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করছে।
জানা গেছে, শাহ আরেফিন টিলায় বড় বড় গর্ত করে অবৈধ বোমা মেশিন, এক্সেভেটর ও ফেলুটার ব্যবহার করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ধ্বংস লীলা। তাদের এই সকল কর্মকান্ডে মনে হয় শাহ আরেফিন টিলা আর বেশিন ঠিকে থাকবে না।
স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে, ঝালিয়ার পাড়ের শুকুর আলীর পূত্র ফারুক, কালা ও মাসুকের নেতৃত্বে প্রায় আটটি গর্ত দিয়ে বোপরোয়া পাথর উত্তোলন করছেন। এছাড়া চিকাডহরের আইয়ুব আলী সে দীর্ঘ দিন থেকে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে গর্ত করে অবৈধ ভাবে পাথর লুট করছে। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি এদের বিরুদ্ধে। এই দুই সন্ত্রাসী পরিবার ছাড়াও রয়েছে আরোও অনেক পাথর খেকোরা। বাহাদুরপুর গ্রামের রতনের গর্তসহ শত শত কোয়ারী দিয়ে তারা পরিবেশের পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার অসহায় লোকজনের ফসলী জমিতে জোরপূর্বক অবৈধ গর্ত করে বোমা মেশিন বসিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তান্ডব লীলা। কোন লোক এর প্রতিবাদ করলেই পড়তে বিভিন্ন হামলা মামলায়।
এদিকে, ভূয়া একটি কাগজ দেখিয়ে কাঠল বাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলী ও জিহাদ আলী রয়েলটির নামে কোয়ারীর পাথর বোঝাই গাড়ি থেকে হাজার হাজার টাকা আদায় করেন। জিহাদ আলীর সাথে রয়েছেন চিকাডহরের আঞ্জু, বাবুল, আনোয়ার, কুদ্দুস, রোশন, ছবর আলী, পুরান ঝালিয়ার পারের আব্দুর রশিদ, কনাই, করিম, চানমিয়া। এই বাহিনী প্রতিদিন কোয়ারী এলাকায় মহড়া দিয়ে থাকে। যদি কোন লোক চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে সাথে সাথে এই বাহিনী শুরু করেন নির্যাতন। তাদের নির্যাতনের ভয়ে বিরবে চাঁদা দিতে হয় শ্রমিকদের।
এসকল গর্ত থেকে স্থানীয় থানা পুলিশের লোকজন নিময়মিত টাকা আদায় করে। যার ফলে উপর মহল থেকে কোন অভিযানের খবর পাওয়ার সাথে পুলিশ গর্ত মালিকদের বলে দেন। বিদায় কোন অভিযানে উপজেলা প্রশাসন কোন ধরনের সফলতা পায়নি। অভিযান শেষ হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় তাদের ধ্বংস লীলা। একদিকে অভিযান অপরদিকে পাথর উত্তোলন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd