ধর্ষণ শেষে কলেজ ছাত্রীকে হত্যা

প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২০

ধর্ষণ শেষে কলেজ ছাত্রীকে হত্যা

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মরিয়ম খাতুন (২০) নামের স্নাতক প্রথম বর্ষের এক কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে শ্যামনগর উপজেলা সদরের বল্লভপুর গ্রামে ধানের ক্ষেতে খড়ের গাদার উপর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকালে গেঞ্জি ও সোয়েটারসহ ফুল প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় থাকা মৃতদেহের জিহবা অনেকটা বের হয়ে ছিল।

উপজেলা সদরের বাদঘাটা গ্রামের পান বিক্রেতা আব্দুল কাদেরের মেয়ে মরিয়ম শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

নিহতের পিতা আব্দুল কাদের জানায় বুধবার রাতে ভাত খাওয়ার পর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কথা বলে মরিয়ম ঘরের বইরে যায়। দীর্ঘক্ষন পরেও সে ঘরে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ করতে যেয়ে টয়লেটের সাথে একটি ওড়না ঝুলতে দেখে।

তার পিতা আরও জানায় মেয়ের কোন খোঁজ না পেয়ে সে বৃহস্পতিবার শ্যামনগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে পাশের বল্লভপুর গ্রামে খড়ের বোঝার উপর মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

এদিকে নিহতের মা মমতাজ বেগম ও বড় বোন কুলসুম বেগম জানান, কয়েক মাস আগে সোয়ালিয়া দেবীপুর গ্রামের এক তরুন মরিয়মকে উত্যক্ত করায় ইউএনও ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে সাজা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি এক প্রতিবেশীর পুত্র মরিয়মকে উত্যক্ত করলে মরিয়মের পিতা ঐ ছেলেকে সতর্ক করে দেন।

তবে মরিয়মের পিতা আব্দুল কাদেরের দাবি, একই গ্রামের কিছু বখাটে তরুন তার মেয়েকে হত্যা করেছেন বলে তার বদ্ধমুল ধারনা। তিনি জানান নিখোঁজের রাতে মেয়েকে খুঁজতে যেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে না পৌছালেও সেখানে স্থানীয়দের উপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিলেন।

এদিকে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ভুরুলিয়া ইউপির নারী সদস্য নারগীস আক্তার, গ্রামবাসী জিয়াউর রহমান ও আমজাদ হোসেনসহ অনেকে জানান ধর্ষণ শেষে মেয়েটিকে গলা টিপে বা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। নিহতের শরীরের বেশ কিছু স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও তারা জানান। গলায় গিট্টু দেয়া ওড়না ছাড়াও ঘটনাস্থলের পাশে আরও দুটি ওড়না পড়ে ছিল বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করে।

শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজের অধ্যক্ষ তম্ময় কুমার সাহা জানান, নিজে প্রশিক্ষনে ঢাকায় অবস্থানের কারনে তারই কলেজের এক ছাত্রীর নিহতের ঘটনা জানতে পেরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন।

এদিকে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ¦ মোঃ নাজমুল হুদা জানিয়েছেন স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বুধবার রাত থেকে নিখোঁজ থাকা কলেজ ছাত্রী মরিয়মের মৃতদেহ বল্লভপুর গ্রামের ধানের ক্ষেতে খড়ের উপর থেকে উদ্ধার হয়েছে। তবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের পরই নিশ্চিত করা যাবে।

পুলিশ সুত্র আরও জানিয়েছে উর্ব্ধতন পুলিশের কর্তারা নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছেন, মৃতদেহ ময়না তদৗেল্প পাঠানো হয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..