ফেসবুক লাইভে এসে প্রবাসী বাংলাদেশি নারীর ক্ষোভ, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২০

ফেসবুক লাইভে এসে প্রবাসী বাংলাদেশি নারীর ক্ষোভ, ভিডিও ভাইরাল

Manual4 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে হ্যামট্রামক শহরে একাই হেঁটে স্কুলে যাচ্ছিল সাত বছরের একটি মেয়ে। সে সময় মেয়েটির পিছু নেয় কয়েকজন লোক। উদ্দেশ্য খারাপ বুঝতে পেরে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি নারী। শিশুটিকে ধস্তাধস্তি করে উদ্ধারের সময় তার হাতে আঘাত করে পিছু নেওয়া লোকগুলো।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে এমন ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন সেলিনা খান নামে ওই প্রবাসী বাংলাদেশি। এ সময় ওই শিশুর অভিভাবকদের ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

সাড়ে ৮ মিনিটের লাইভে তিনি বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দিতে গেলে তিনি দেখেন তার মা ঘুমাচ্ছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বাচ্চার দেখভাল না করতে পারলে জন্ম দিয়েন না।’

‘আমাদের বাঙালি মানুষরা যে এখানে এসে কেমন হয়ে যাচ্ছে, আমি বুঝতে পারি না।’

নিজের উদাহরণ টেনে সেলিনা বলেন, ‘আমি এখানে বড় হয়েছি। তারপরও উনাদের আর আমার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।’

Manual2 Ad Code

তিনি জানান, তার মস্তিষ্কে একটি স্যুডো টিউমার রয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তার মাথা ব্যথা হয়। তারপরও তিনি নিজের সন্তানদের কখনও একা স্কুলে ছাড়েন না।

Manual6 Ad Code

প্রবাসী বাংলাদেশি এই নারী প্রশ্ন রাখেন, ‘ঘুমটা বড় নাকি ওই বাচ্চার নিরাপত্তা বড়?’

তিনি মন্তব্য করেন, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখেছেন যুবক ছেলে-মেয়েরা শুধুমাত্র তার মা-বাবাদের অবহেলার জন্য এত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

Manual6 Ad Code

সেলিনা বলেন, ‘এই দেশে এমনিতেই বাচ্চাদেরকে হাতে রাখা যায় না। তারপর যদি শুরু থেকেই আপনারা এদের এত স্বাধীনতা দিয়ে দেন তাহলে পরে ওদের দোষ দিতে পারবেন না যে ওরা কেন এমন হয়েছে। একা একা কি স্কুলে যাচ্ছে নাকি বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড নিয়ে বাইরে যাচ্ছে আপনি জানেন না। আপনার ন্যূনতম দায়িত্বটুকু পালন করুন। তাদের স্কুলে পৌঁছে দিন।’

মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হ্যামট্রামক শহরকে অনিরাপদ উল্লেখ করে সেলিনা জানান, সেখানে ইদানিং প্রায়ই কিশোর-কিশোরী নিখোঁজ হয়। কয়েকদিন আগে তার দেবরের গাড়ির কাঁচ ভেঙে দিয়েছে, ব্যাটারি খুলে নিয়েছে একটি ইলেকট্রনিক দোকানের সামনে থেকে। কিন্তু পুলিশ এই বিষয়ে কিছুই করতে পারেনি।

Manual3 Ad Code

এই নারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘একটা গাড়িই যেখানে নিরাপদ নয়। সেখানে কীভাবে আপনারা আপনাদের বাচ্চাকে একা রাস্তায় ছেড়ে দেন?’

‘বাঙালিরা বেশি মডার্ন হয়ে যাচ্ছে। আমরা অনেক বুঝি। তারপরও জানি না কেন এত অবহেলা’-পরিতাপ করে বলেন সেলিনা।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..