বিয়ের পর স্ত্রীকে অস্বীকার : ফেঞ্চুগঞ্জে পিতৃহীন শিশুকন্যা তাফসিয়া

প্রকাশিত: ৭:১৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৯

বিয়ের পর স্ত্রীকে অস্বীকার : ফেঞ্চুগঞ্জে পিতৃহীন শিশুকন্যা তাফসিয়া

Manual2 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বিয়ের একযুগ পার করলেও বিগত চার বছর থেকে স্ত্রীকে অস্বীকার করে আসছেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ধারণ বনগাঁও গ্রামের ফটিক মিয়ার (৫৭) ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী জামাল উদ্দিন (৩২)।

Manual7 Ad Code

তিনি ২০০৮ সালে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় ছিটকে পড়া সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার নারকেল তলা গ্রামের মৃত নূর মিয়া ও বানেছা বিবির বড় কন্যা মোছা: রাশেদা বেগম লিজাকে (২৮) বিবাহ করেন। এরপর থেকে তারা একত্রে বসবাস করতে শুরু করেন। কিন্তু তাদের দু’জনের পরিবারের এব্যাপারে আপত্তি ছিল। বিশেষ করে জামালের পরিবারের এই বিয়ে নিয়ে। কেননা দুই পরিবারের অমতে এবং তাদের দুজনের মতেই বিয়ে সম্পন্ন করেছিলেন মসজিদের এক ইমাম। সেই বিবাহের স্বাক্ষী স্বরুপ লিজার পক্ষে তার চাচা এবং জামালের পক্ষে মো: আমির আলী ও কাজল মিয়া নামে দু’জন ব্যক্তি ছিলেন। ঘটনাক্রমে যখন লিজা ভাড়া বাসা ছেড়ে নিজ শশুরবাড়িতে উঠতে আগ্রহী হয়, তখন জামাল তাকে তার নিজ বাড়ি বনগাও নিয়ে যায়।

Manual8 Ad Code

কিন্তু সেখানে শাশুড়ীর নির্যাতন সইতে না পেরে গর্ভবতী অবস্থায় জগন্নাথপুরে নিজ বাড়িতে চলে আসে লিজা। তারপর আবার জামাল তাকে ফিরিয়ে নিলে ফেঞ্চুগঞ্জেই জন্ম হয় তাদের একমাত্র সন্তান তাফসিয়া বেগমের (৯)। সে সেখানেই কিছুটা বড় হয়।

জানা যায়, তাফসিয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিকা দেওয়ার সময় তার বাবা জামাল উদ্দিন তাকে নিয়ে যান। যা সনদপত্রে রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ২০১৪ সাল থেকে সেই পরিবারে পারিবারিক কলহ আর নির্যাতনের স্বীকার হয়ে লিজা তার পিতার আশ্রয়ে চলে যায়। জামাল লিজাকে না জানিয়ে আবারও বিয়ে করে। সেই স্ত্রী বর্তমানে তার পরিবারে রয়েছে। কিন্তু এরপর জামাল তার প্রথম স্ত্রী বা সন্তানের কোন খোঁজ নেননি।

Manual1 Ad Code

তারপর জানা গেছে জামাল সৌদি আরব চলে গেছেন। কিন্তু এর পূর্বেই লিজা তার পারিবারিক অর্থনৈতিক কারণে সরকারিভাবে সৌদি আরব চলে যায়। বর্তমানে দু’জন সৌদি আরব দুই শহরে বসবাস করলেও মাঝে মধ্যে লিজা জামালের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও জামাল তাতে সাড়া দেয়নি। বরং কোন একদিন তাকে হুমকি এবং গালাগালির দ্বারা তাকে কু-প্রস্তাব করে। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে একটি কাবিননামা ছাড়া সামাজিক বিয়ে আবার স্বাক্ষীও রয়েছেন। তা কি জামালের পূর্ববর্তী পরিকল্পনা ছিল? বর্তমানে তাফসিয়া নারিকেল তলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। কি হবে তার পিতৃপরিচয়? আর জামালের এমন অস্বীকার এবং স্বামীবিহীন লিজার আকুতি ভালবাসার মায়াজালে কি এভাবে একটি সন্তানের কারনেই একাকিত্ব থাকবে? প্রশ্নটা সমাজের কাছে লিজা’র কি অপরাধ ছিল আমার? এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতের ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

Manual4 Ad Code

সেখানে প্রকাশ্যে উল্লেখ্য তিনি ভারতেরও নাগরিক। একদিকে রাশেদা বেগমকে ধোকা দিয়ে বিবাহ করে এবং অন্যদিকে দৈত নাগরিকত্ব নিয়ে সে এখন সৌদি আরব রয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..