প্রশাসনের নিষেধ উপেক্ষা করে দক্ষিণ কুশিঘাটে প্রভাবশালীর বালু উত্তোলন

প্রকাশিত: ৪:৫২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০১৯

প্রশাসনের নিষেধ উপেক্ষা করে দক্ষিণ কুশিঘাটে প্রভাবশালীর বালু উত্তোলন

Manual2 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের দক্ষিণ সুরমার দক্ষিণ কুশিঘাট এলাকায় সুরমা নদী থেকে অবৈধ ভাবে নিষিদ্ধ ড্রেজার ও টমট মেশিন দ্বারা বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। যে স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেখান দিয়ে জালালাবাদ গ্যাস লিমিটেডের মূল লাইন ও সিসিকের পানি উত্তোলনের লাইন রয়েছে। বালু উত্তোলনকালে যে কোন সময় গ্যাস লাইন ছিদ্র হয়ে বিষ্ফোরণের মত ঘটনা ঘটতে পারে। বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়েছে এলাকার কয়েক হাজার পরিবার।

Manual3 Ad Code

বালু উত্তোলন বন্ধের দাবীতে এলাকাবাসী দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ভ‚মি ও মোগলাবাজার থানা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৬ অক্টোবর শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে চক সুলতানপুর ভ‚মি অফিসের তহশীলদার মুসলেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দক্ষিণ কুশিঘাট এলাকায় গিয়ে বালু উত্তোলনকারী কর্তৃপক্ষকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে নিষেধ করেন। প্রশানের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন।

জানা যায়, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ডের সুরমা নদীর তীরবর্তী দক্ষিণ কুশিঘাট, পালপুর, হবিনন্দী, কুইটুক মৌজার সুরমা নদীতে গত ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে একটি প্রভাবশালী মহল ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড়ে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ড্রেজারের শব্দে রাতে এলাকার লোকজন ঘুমাতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। শব্দের কারণে রোগীদের অসুস্থতা আরো বাড়ছে। এছাড়াও এলাকার মসজিদ, মাদরাসার, স্কুল সহ অসংখ্য বাড়ীঘর ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। নদী তীরবর্তী গ্রাম নদী গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

Manual6 Ad Code

দিনের বেলা নদীর মধ্যভাগে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করলেও রাতের আধাঁরে নদীর একেবারে তীরে চলে আসে। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে ড্রেজার আতঙ্ক বিরাজ করছে। জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তোজনা সৃষ্টি হচ্ছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা।
এলাকাবাসী জানান, কর্তৃপক্ষকে নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জোর দাবী জানালেও তারা এর তোয়াক্কা করছেন না। এলাকাবাসীর পক্ষে মুরব্বী সাইস্তা মিয়া বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার দাবী জানান।

আলাপকালে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু চৌধুরী বলেন, যেখান থেকে বালু উত্তোলন হচ্ছে সে স্থানটি সিলেট সদর উপজেলার অধীনে। আমি বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখবো যদি বালু উত্তোলনের স্থানটি দক্ষিণ সুরমার মধ্যে পড়ে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বিজ্ঞপ্তি

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..