সিলেট ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অনশনে বসেছেন এক গৃহবধূ। শুক্রবার দুপুর থেকে অনশন করছেন তিনি। শনিবার বিকেল পর্যন্ত শ্বশুরবাড়ি অনশনে আছেন নববধূ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের কেচুলুটি গ্রামের দরাছত মিয়ার বড় ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক (৪০) একই ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের আ. রউফের মেয়ে শারমিন আক্তারকে (২৫) গত ৪ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন। কিন্তু স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি না নিয়ে বাবার বাড়ি রেখে যান আবু বক্কর। এর মধ্যে স্ত্রী শারমিনের বাবার বাড়ি এসে থাকতেন স্বামী আবু বক্কর। স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা বললে বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে যেতেন স্বামী।
এরই মধ্যে বিয়ের দুই মাস না যেতেই শারমিন আক্তারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন স্বামী আবু বক্কর। যৌতুকের টাকার জন্য ছোট ভাই মোহাম্মদ মুন্না মিয়াকে দিয়ে স্ত্রীকে চাপ দেন আবু বক্কর। একই সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা দিতে না পারলে শারমিনকে শ্বশুরবাড়িতে নেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়।
এ অবস্থায় গতকাল শুক্রবার স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অনশনে বসেন শারমিন। কিন্তু একদিন পেরিয়ে গেলেও শারমিনকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক ও দেবর মোহাম্মদ মুন্না মিয়ার নামে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শারমিন।
শারমিন আক্তার বলেন, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে আমাকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে সে। কয়েক মাস আগে অন্তঃসত্ত্বা হলে গর্ভপাত করায় আবু বক্কর। গত ৪ সেপ্টেম্বর আমাকে বিয়ে করে সে। কিন্তু বিয়ের দুই মাস না যেতেই পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সেই সঙ্গে যৌতুকের টাকা না দিলে ঘরে তুলবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়। উপায় না পেয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়ি অনশনে বসেছি আমি।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি এলেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত আমাকে ঘরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ অবস্থায় শ্বশুরবাড়ির দরজায় বসে আছি আমি। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত আমি এখানেই থাকব।
এ বিষয়ে শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহম্মদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে সালিশের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু উভয় পক্ষ সালিশ না মানায় আইনের মাধ্যমে সমাধানের জন্য বলেছি।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমজির হোসেন বলেন, অনশনরত গৃহবধূর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd