কানাইঘাট ভারতীয় গরু আটক অভিযানে ব্যস্ত পুলিশ

প্রকাশিত: ১০:২৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০১৯

কানাইঘাট ভারতীয় গরু আটক অভিযানে ব্যস্ত পুলিশ

Manual2 Ad Code

কানাইঘাটের বিভিন্ন দূর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে নিয়ে আসা গরু ব্যবসার সাথে সীমান্ত এলাকার অধিকাংশ লোকজন জড়িয়ে পড়ায় গরু আটক করতে থানা পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে। মূলত সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে বর্ডারগার্ড বিজিবি কাজ করে থাকে। কিন্তু বিচ্ছিন্ন ভাবে কানাইঘাটের কিছু সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে নিয়া আসা গরু ব্যবসার সাথে সবাই জড়িয়ে পড়ায় বিজিবি জোয়ানরাও এক ধরনের অসহায় হয়ে পড়েছেন।

বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় অনেক ক্ষেত্রে বর্ডার আইনে পুলিশ সেখানে অভিযান চালাতে পারে না। আর কানাইঘাটের বর্ডার এলাকা দূর্গম হওয়ায় চোরাকারবারী সহ স্থানীয় অনেকে এখন ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবে গরু নিয়ে এসে ব্যবসা করছেন। গরু আটক করতে বিজিবি ও পুলিশ অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করলেও এক্ষেত্রে স্থানীয় সীমান্ত এলাকার লোকজনের সহায়তা তারা পাচ্ছেন না। তারপরও বিজিবি ও পুলিশ বিভিন্ন সময় ভারতীয় গরু আটক অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

Manual1 Ad Code

সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএমের দিক নির্দেশনায় কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম ভারতীয় গরু আটক অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। ভারতীয় গরু আটক করতে পুলিশ সীমান্তবর্তী সহ সড়কের বাজার এলাকায় নিয়মিত অবস্থানের কারনে উপজেলা সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সম্প্রতি সময়ে অবনতি হয়েছে। পুলিশ গরু ধরা অভিযানে ব্যস্ত থাকায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চুরি সহ ফৌজদারী অপরাধ কিছুটা বেড়ে গেছে।

Manual2 Ad Code

গত কয়েক দিন ধরে চতুল ও গাছবাড়ী এলাকার মধ্যে একটি জলমহালের জায়গা নিয়ে প্রচন্ড বিরোধ চলছে। উভয় পক্ষ বিল এলাকার জমি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠায় সেখানে বড়ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ কে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া উমাগড়, ভাটিদিহি ও ভাটইশাইল মৌজার লোকজনের মধ্যে হাওর এলাকার তাদের সম্প্রতি জায়গা দখল ও হিসাব নিকাশ নিয়ে মারামারি সহ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।

Manual1 Ad Code

থানা পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে আইন শৃংখলা উন্নয়নের কাজ বাদ দিয়ে গরু আটক অভিযানে ব্যস্ত থাকায় চুরি সহ নানা অপরাধ ঘটছে। গত কয়েকদিনে থানা পুলিশ ৩২ টি ভারতীয় ছোট-বড় গরু আটক করেছে। গরুগুলো থানা বাউন্ডারীর বেষ্টনীতে রাখায় থানা পুলিশ কে গরুর খাদ্য যোগাড় সহ নানা ধরনের দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে বলে থানার ওসি শামসুদ্দোহা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সীমিত সংখ্যক পুলিশ কি করে একা এসব গরু আটক করবে তারপরও পুলিশের সকল অফিসার ও সদস্য দৈনন্দিন আইন-শৃংখলার কাজ অনেক ক্ষেত্রে বাদ দিয়ে গরু আটক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আটককৃত গরুগুলোর মলমূত্রের কারনে থানার পরিবেশ নোংরা হচ্ছে।

Manual3 Ad Code

এসব গরু দেখা শুনার জন্য ৫/৬ জন কে রাখা হয়েছে। গরুগুলি থানা প্রাঙ্গনে অবাদ বিচরনের কারনে নানা ধরনের সমস্যা পোহাতে হচ্ছে আমাদের কে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া গরু নিলামের বিক্রির কোন ব্যবস্থা পুলিশ নিতে পারেনি। যার কারনে দীর্ঘদিন গরুগুলো থানা হেফাজতে রাখতে হয়। উপজেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতী হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরু আটক অভিযানে পুলিশ কে বেশি সময় দিতে হয়। যার কারনে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিট পুলিশিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা সহ আইন-শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে কিছুটা হলেও সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। তারপর পুলিশ আইন-শৃংখলার উন্নয়নে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..