সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর এবার সিলেটে জুয়া বিরোধী অভিযানে নামছে র্যাব। সিলেটে কোনো ক্যাসিনো নেই বলে জানায় র্যাব। তবুও এসব খতিয়ে দেখতে তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। যাদের তালিকা তাদের হাতে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অবৈধ ভাবে যারা রাতারাতি পয়সাওয়ালা হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছে র্যাব।
বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে যেসব ব্যক্তি আটক হয়েছেন তাদের মধ্যে যুবলীগের নেতারা রয়েছেন।
এদিকে, সিলেটে অনুপ্রবেশকারী ও দুর্নীতিবাজ সরকার দলের নেতারা দুরচিন্তায় রয়েছেন। যেকোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন এমন আশঙ্কায় রয়েছেন। অনেকেই দেশ পলায়নের চেষ্টায় রয়েছেন। আবার অনেকেই গ্রেফতার আতঙ্কে নিজ গৃহ ছেড়ে অন্যত্র রাত্রি যাপন করছেন।
র্যাব-৯ এর এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা মাদক, অস্ত্র, চোরাচালনির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে এ কর্মকর্তা বলেন, সিলেটে কোনো ক্যাসিনো নেই। তবে জুয়ার বোর্ড আছে। আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। অনেক তথ্য আমাদের কাছে আছে। এসব খতিয়ে দেখছি। আরও তথ্য সংগ্রহ করছি। এসব কাজে যারা জড়িত তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। শিগগিরই জোড়ালো অভিযান চালানো হবে।
একটি পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিনোদন জগতের অন্যতম খোরাক ক্যাসিনোর বিস্তার রাজধানীতে ঘটে নেপালি ৯ নাগরিকের হাত ধরে।রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে তারা একের পর এক ক্যাসিনো খুলে বসেন নগরে। বিভিন্ন ছোটবড় ক্যাসিনোতে রয়েছে তাদের অংশীদারিত্ব।
তবে ক্যাসিনোর আসর নিয়ে অভিযান শুরু হলেও বিদেশি এসব নাগরিক এখনও আড়ালেই রয়ে গেছেন।
২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশে অবৈধ এ ব্যবসা শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী ভিক্টোরিয়া ক্লাবে। অবৈধ এ ব্যবসার কর্ণধার নেপালের ক্যাসিনো ব্যবসায়ী দীনেশ মানালি এবং রাজকুমার।
এছাড়া, তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন বিনোদ মানালি। নেপাল ও ভারতের গোয়ায় তাদের মালিকানায় ক্যাসিনো ব্যবসা রয়েছে।
২০১৬ সালে কলাবাগান ক্লাবে ক্যাসিনো খোলেন নেপালি নাগরিক দীনেশ, রাজকুমার ও অজয় পাকরাল।
বনানী আহমেদ টাওয়ারের ২ তলায় অবস্থিত ঢাকা গোল্ডেন ক্লাবে ক্যাসিনো চলতো নেপালি নাগরিক অজয় পাকরালের তত্ত্বাবধানে।
এছাড়া, মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনো খোলেন নেপালি নাগরিক হিলমি।
দিলকুশা ক্লাবের ক্যাসিনো মালিকানায় আছেন নেপালি নাগরিক দীনেশ, রাজকুমার ও ছোট রাজকুমার। মোহামেডান ক্লাবের ক্যাসিনোতে নেপালি অংশীদার রয়েছেন কৃষ্ণা।
নেপালের ক্যাসিনো ব্যবসায়ী দীনেশ ও রাজকুমারের আদি নিবাস নেপালের থামেলে। ঢাকায় চাহিদা থাকায় নেপালি ক্যাসিনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন ক্লাবে সরবরাহও করতেন দীনেশ ও রাজকুমার।
অন্যদিকে, স্পট চালাতে বিভিন্ন জায়গায় মাসোহারা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতেন একসময় কাকরাইলের বিপাশা হোটেলের বয় জাকির হোসেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd