‘সুবিধা আদায় করতে না পেরে আক্রমনের শিকার কাজি আনিস’

প্রকাশিত: ৫:১৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯

‘সুবিধা আদায় করতে না পেরে আক্রমনের শিকার কাজি আনিস’

Manual3 Ad Code

নেতা হওয়া চট্টিখানি কথা নয়। এর পেছনে থাকে ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রম। থাকে কর্মীদের প্রতি নি:স্বার্থ ভালোবাসা। সেই পরিশ্রম এবং ভালোবাসা দিয়ে যিনি কর্মীবান্ধব নেতা-তিনি কাজি আনিসুর রহমান। বলা যায়-যুবলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের হাড়ির খবরও যার নখদর্পনে,তিনিই কাজি আনিসুর রহমান। অবশ্য, একদিনেই তিনি এই স্থানটিতে উঠে আসেননি। এর জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা ছিল অবর্ণনীয়। মেধা আর কাজের সমন্বয় ঘটিয়ে মন জয় করে নেন সকলের। হয়ে উঠেন সংগঠনের মধ্যমনি।

যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মসূচীর ফাইলপত্র, প্রচার বিভাগের যাবতীয় কাজ, কর্মীদের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণসহ তৃণমূল পর্যায়ে কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করাই ছিল কাজি আনিসের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব। মূলত এই কারণেই তৃণমুলে সংগঠনের ভিত হয়ে উঠে বেশ শক্তিশালী। ফলে সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজপাগল ওমর ফারুক চৌধুরীর নেক নজরেও আসতে থাকেন তিনি। আর এভাবেই স্বীয় যোগ্যতা প্রদর্শনপূর্বক তিনি স্থান পান যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। বর্তমানে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক তিনি।

রাতদিন দাপ্তরিক কাজ নিয়ে ব্যস্থ থাকা কাজি আনিস নিজ পরিবারে সময় দিতে না পারলেও সংগঠনকেই নিজের পরিবার মনে করতেন-এমন কথা যুবলীগ কর্মীদের মুখে মুখে। কাজী আনিসুরের এইসকল গুনই একটা সময়ে কাল হয়ে দাঁড়ায়। ফলে একটি চক্র কাজী আনিস এবং যুবলীগ ঘায়েলের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। বিশেষ করে সারাদেশে যুবলীগ যখন কাউন্সিলদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সম্মেলন করে আসছে-সেই সময়ই থেকেই শুরু হয় ঐ চক্রের নানমুখী তৎপরতা। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী যখন বিভিন্ন সভাসমাবেশ এবং দলীয় সভায় যুবলীগকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন, তখন থেকেই গাত্রদাহ শুরু হয় ঐ চক্রের।

Manual6 Ad Code

এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা যুবলীগ নেতা শাহ জামাল জানিয়েছে- সারাদেশে যুবলীগকে চাঙ্গা করতে চেয়ারম্যান-সম্পাদকের পরেই দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান কাজ করে গেছেন। যেখানেই যা প্রয়োজন, আনিসুর রহমান তা করে যাচ্ছেন। সারা দেশে যুবলীগকে এগিয়ে নিতে তাঁর চেষ্টার কোন কমতি নেই। নেতাকর্মীদের মধে ঐক্য গড়া, তাদের কে সাংগঠনিকভাবে পাকাপুক্ত করতে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

Manual7 Ad Code

সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা পাভেল আহমদ জানিয়েছেন- সুনামগঞ্জের পদবীধারী নেতা থেকে তৃণমূলের কর্মী পর্যন্ত আনিসুর রহমানের সাথে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। কর্মীদের কিভাবে যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হয় তা তিনি ভালো করেই যানেন।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান বলেন, রাজধানীতে চলা ক্যাসিনো থেকে সকল দলের নেতাই ভাগ বসাতেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- তাহলে যুবলীগ কেনো হঠাৎ করে আলোচনায় আসলো? বিষয়টা সত্যিই রহস্যের। তিনি বলেন, যারা এতদিন টাকা খেয়ে নেশায় বুদ ছিলেন, মূলত সেই চক্রের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সামনে নিয়ে আসা হলো যুবলীগকে। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযান নতুন বিষয় নয়, উল্লেখ করে তিনি বলেন এরই ধারাবাহিকতায় যুবলীগেরও পথ চলা। কিন্তু যুবলীগের শুদ্ধতায় পথ চলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় একটি পক্ষ। তারা প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর থেকে যুবলীগকে সরিয়ে ফেলতে চায়-বলেই চলছে ধারাবহিক প্রচারণা।

সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা মাসুম আহমদ একটি ছড়া কেটে বলেন, ‘ও ভাই কানা, আমার জানা, তুমি ছিলে কি ? ঘি যখন পাওনি খেতে, বলছো এখন ছি’। তিনি বলেন, ‘কেটে যাবে ঘণ ঘোর, রাত শেষে আসে ভোর’। যুবলীগ চক্রান্তের শিকার-এমন বিষয় নিশ্চিত করে তিনি বলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি ঘিরে রেখেছে র‌্যাব-এমন গুজব ছড়ানো শেষ না হতেই সিলেটে আমাদের মহানগর সভাপতি আলম খান মুক্তির নিকট কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম দিয়ে একটি ফেইক আইডি থেকে চাঁদা চাওয়া হয়। শুধু এখানেই শেষ নয়-চাঁদার জন্য একটি বিকাশ নাম্বার পাঠিয়ে দ্রুত টাকা প্রেরণের তাগিদও প্রদান করা হয়।

Manual4 Ad Code

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের ব্যক্তিগত সেল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য আদায় করা সম্ভব হয়নি।

Manual6 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..