কারাগারে মা হলেন নুসরাত হত্যা মামলার আসামি মনি

প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯

কারাগারে মা হলেন নুসরাত হত্যা মামলার আসামি মনি

Manual1 Ad Code

ফেনী জেলা কারাগারে বন্দি থাকা নুসরাত হত্যা মামলার আসামি কামরুন নাহার মনি কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন।

Manual4 Ad Code

কারাগারের জেলার দিদারুল আলম জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কামরুন নাহার মনির প্রসব বেদনা শুরু হলে দ্রুত তাকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে রাত সাড়ে ১২টায় মনির কন্যা সন্তান জম্মগ্রহন করে। বর্তমানে মা ও মেয়ে দু’জনই সুস্থ আছে।

নুসরাত হত্যা মামলায় মনি যখন গ্রেফতার হন তখন তিনি পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। মামলার বিচার কাজ শুরু হলে মনিকে প্রতি কার্য দিবসে আদালতে হাজির করা হয়। তার আইনজীবী কয়েকবার জামিন চাইলেও আদালত না মঞ্জুর করেন। অন্তঃসত্ত্বা থাকার কারণে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে বিচারকাজে অংশ নেওয়ার আবেদন জানালে আদালত সেটাও না মঞ্জুর করেন।

Manual7 Ad Code

আদালতে মনির আনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার আবু তাহেরের নেতৃত্ব গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ২৪ সেপ্টেম্বর সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ দিয়ে তাকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ উপেক্ষা করে তাকে আদালতে নেওয়া হয়।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ৩৪২ ধারায় আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার সময় কামরুন নাহার মনি নিজেকে নির্দোষ দাবী করে পিবিআই হেফাজতে তাকে চরম নির্যাতন ও পেটে লাথি মেরে বাচ্চা নষ্ট করার হুমকি দিয়ে জবানবন্দি আদায়ের অভিযোগ করেন। তিনি জানান, যে মনি হুজুরের মুক্তির জন্য জন্য মিছিল মিটিং মানববন্ধন করেছে তাকে গ্রেফতার করেও ছেড়ে দেয় পিবিআই।

ওইদিন তিনি আদালতকে বলেন, স্যার আদালতে আসতে আমার খুব কষ্ট হচ্চে। তারপর বিচারক মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন পেয়েছেন জানিয়ে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দেন।

ফেনী হাসপাতালে থাকা মনির মা নুরের নাহার মুঠোফোনে জানান, মনি অসুস্থ থাকলেও নবজাতক সুস্থ আছে। অসুস্থ অবস্থায়ই ডাক্তার তাকে রিলিজ করে দিয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মনিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।

Manual3 Ad Code

ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার আবু তাহের জানান, মা ও নবজাতক সুস্থ আছে। কারা কর্তৃপক্ষ চাইলে আজ তাকে নিয়ে যেতে পারবে।

নুসরাত হত্যা মামলার বিচার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে চলিত সপ্তাহে রায়ের তারিখ ঘোষণার সম্ভবনা রয়েছে। এ মামলায় মনি দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জব্নবন্দি প্রদান করেন। পরে মামলার বিচার কাজ শুরু হলে আদালতে জবানন্দির বিরুদ্ধে ডিনাই পিটিশন দাখিল করেন। পিটিশনে পিবিআইর বিরুদ্ধে নির্যাতন করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ করেন।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..