সিলেট ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
সিলেটের বিশ্বনাথে ছোট ভাইয়ের খরিদা সম্পত্তির দখল করতে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ থানায় বড় ভাই, তার স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন বিশ্বনাথ থানার ভোলাগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মতলিবের পুত্র আব্দুল গফুর। থানায় মামলা নং- ১১, (১৭.০৯.১৯ইং। আদালতে মামলা নং- বিশ্বনাথ জিআর ১৯৩/১৯।
মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা হলেন- বিশ্বনাথ থানার ভোলাগঞ্জ গ্রামের আব্দুন নুরের পুত্র মাহবুব, আব্দুল মতলিবের পুত্র আব্দুন নুর ও তাঁর স্ত্রী ইসকাই। আসামী আব্দুন নুর ২নং খাজাঞ্জি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তার ছেলে মাহবুব ছাত্রলীগ নেতা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়- বিবাদী আব্দুল গফুরকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় আসামীদের বসতবাড়ির সামনেই হামলা করে উপরোক্ত আসামীরা। মাহবুব, আব্দুন নুর ও ইসকাই মিলে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে তার উপর হামলা চালায়। বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ী আঘাতে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন আব্দুল গফুর। হামলাকারীরা আব্দুল গফুরে পকেট থেকে ৪ হাজার ২শত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তারা আব্দুল গফুরকে মৃত ভেবে মাটিতে ফেলে চলে যায়। পরে আব্দুল গফুরের আরেক ভাই কামরুজ্জামান তাকে উদ্ধার করে বিশ্বনাথ উপজেলা কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
জানা যায়- বিশ্বনাথ থানার ভোলাগঞ্জ মৌজার জে.এল নং-৪৫ ও খতিয়ান নং-১২, দাগ নং- ২০ এর ১৯ শতক ফসলী ও পুকুর রকম জমির খরিদা সূত্রে মালিক হন আব্দুল গফুর। ওই জমির প্রকৃত মালিক মৃত হাজী আকরম উল্লাহর ছেলে হাজী আব্দুস সাত্তার। তারা পরস্পর সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ওই জমি খরিদ করার পর থেকেই আব্দুল গফুরের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। জমি দখল করতে তারা নানা পায়তারা সৃষ্টি করে। জোরপূর্বক ওই জায়গার পুকুর থেকে মাছ চুরি করে। এ ঘটনায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে গত ৩ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন আব্দুল গফুর। বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং- ২৯৮/২০১৯। মামলা দায়েরের পর আদালত পুকুরে ১৪৪ ধারা জারি করে। এরপরও আসামীরা সরকার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে পুকুর থেকে মাছ চুরি করে। এ ঘটনায়ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিলেটে মামলা দায়ের করেন আব্দুল গফুর। বিশ্বনাথ বিবিধ মোকদ্দমা নং- ১৪/২০১৯।
এর আগে গত ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় ওই জায়গার জোরপূর্বক দখলকারী আব্দুল নুর ও তার ছেলে মাহবুব ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ওই জায়গা ভোগ করতে পারবেনা বলেও হুশিয়ারী প্রদান করে। এ ঘটনায় গত ১৯ মার্চ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে আব্দুল নুর ও তার ছেলে মাহবুবকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী আব্দুল গফুর। চাঁদাবাজির মামলায় আসামীরা জামিনে রয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরদিনই সকাল সাড়ে ৯টায় আব্দুল গফুরের উপর হামলা চালায় তারা। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ফজলুল আলম জানান- ওই ঘটনায় মামলা আমলে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামীদের গ্রেফতারেও পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd