সিলেট ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলার থানা সদর এলাকা বাসষ্টেশন সীমান্ত হোটেল থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ১৫ জুয়াড়ীকে আটক করে থানা পুলিশ, জুয়া আইনে মামলা দায়েরপূর্বক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টায় জৈন্তাপুর বাসষ্টেশন সীমান্ত হোটেল থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিকের নির্দেশনা “টিম জৈন্তাপুর” নামে একদল পুলিশ ফোর্স অভিযান করে সীমান্ত হোটেলের দ্বিতীয় তলা থেকে ১৫ জুয়াড়ীকে আটক করে নিয়ে আসে। এলাকাবাসী জানায় সীমান্ত হোটেলের দ্বিতীয় তলার কয়েকটি কক্ষে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ভাবে অন্তত ১০টি বোর্ড বসিয়ে জুয়া খেলা পরিচালিত হয়ে আসছে।
তারা আরো জানায় ইতিামধ্যে জৈন্তাপুর মডেল থানায় আসা নবাগত ওসি শ্যামল বণিক উপজেলার প্রতিটি বাজার এলাকায় মাইকিং করে জুয়া খেলা, তীর খেলা ও মাদক আস্তানা বন্ধ করার আহবান জানান। যদি এসব অপরাধ বন্ধ না করা হয় তাহলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আটকৃতরা হলো- নিজপাট ইউপি‘র মোর্গাহাটি গ্রামের মৃত মুছা মিয়ার ছেলে মহসিন (৩০), নিজাপট দর্জিহাটি গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে মোঃ মইনুল (২৪), মজুমদার পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ ড্রাইভারের ছেলে সোহেল আহমদ (২৮), রুপচেং মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত ইউসুছ আলীর ছেলে হাফিজুল হক (২৮), পানিয়ারাহাটি গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ সমুন মিয়া (৩০) জৈন্তাপুর ইউপি‘র বিরাখাই গ্রামের মৃত শহর উল্লার ছেলে কামরুল হাসান (৩৫), বাউরভাগ কান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মোঃ কিবরিয়া (৩৩), একই গ্রামের সাইফুল্লার ছেলে জালাল উদ্দিন হেলাল (২৮), তজমুল আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ (২৮), বাউরভাগ মল্লিফৌদ গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে বোরহান উদ্দিন (২০), একই গ্রামের মৃত মছক আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (২৮), বিরাখাই গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে নাছির আহমদ (৩০), মোয়াখাই গ্রামের সুনিল দাশের ছেলে সাধন দাশ (২৮), বিরাইমারা গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে ইছাক মিয়া (৩২) এবং গোয়াইনঘাট উপজেলার সাবেক আলীরগাঁও ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত নজুব আলীর ছেলে মোঃ মুছা মিয়া(৪০)।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক প্রতিদেককে জানান, আমি এ থানায় আসার পর জুয়া, তীর খেলা ও মাদক মুক্ত করা ঘোষনা দিয়েছি এবং প্রতিটি বাজার এলাকায় মাইকিং করে এসব জুয়া, তীর খেলা ও মাদকের ব্যবসা বন্ধ করার জন্য সাবধান করে দিয়েছি। তারপরও এসব বন্ধ হচ্ছে না, তাহলে আমি কি করব, বাধ্য হয়ে আমার টহল টিম “টিম জৈন্তাপুর” অভিযান করে ১৫ জুয়ারীকে আটক করে নিয়ে আসে। তাদেরকে জুয়া আইনে মামলা দায়েরপূর্বক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং জৈন্তাপুরকে সুন্দর নগরি গড়তে সচেতন মহলের সবাইকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd