সিলেট ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কনস্টেবল মো. আশরাফুল ইসলামের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা করেছে। কিন্তু স্বজনরা বলছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ মারধরের ভিডিওটিও ধারণ করেন আশরাফুল। তার মোবাইল ফোন থেকে দুটি ঘটনার ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করা হয়েছে। এসএমপি কমিশনার অফিসে ভিডিও দুটি জমা দিয়ে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার। উল্লেখ্য, আশরাফুলের স্ত্রীও এসএমপির একজন কনস্টেবল।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৮ আগস্ট হবিগঞ্জের বাহুবলের মুগকান্দি এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় আশরাফুলের মৃত্যু হয়। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের পাগলা থেকে সিলেটে আসার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মুগকান্দিতে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন।
আশরাফুলের পরিবার জানায়, ঘটনার পর আশরাফুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি তার বড় ভাই মনিরুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। ১ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে মনিরুল ইন্সপেক্টর গোবিন্দ ও আশরাফুলের স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও এবং মারধরের ভিডিও পান।
ভিডিওটি পাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন গোবিন্দ তার অপকর্ম ঢাকতে আশরাফুলকে টার্গেট করেন। এ কাজে আশরাফুলের স্ত্রী গোবিন্দকে সহায়তা করেন। এমনকি আশরাফুলের মৃত্যুর পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিজেদের জিম্মায় নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন গোবিন্দ ও আশরাফুলের স্ত্রী।
এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, এখন তিনি কিছু বলবেন না। পুলিশ কমিশনারকে ভিডিও দিয়ে তিনি বিচার চেয়েছেন। এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা না বলার জন্য তাকে কমিশনার অফিস থেকে নিষেধ করা হয়েছে।
আশরাফুলের চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, আশরাফুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকে। কিন্তু আশরাফুলের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
আরওআই গোবিন্দ ক্ষমতাধর হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কিছু বলা যাচ্ছে না। এমনকি সাত দিন আগে তার বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণসহ অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোবিন্দ বলেন, আমার জানা মতে আশরাফুল অবিবাহিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটি অবান্তর। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এসএমপির অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ বলেন, হাইওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটায় এখান থেকে তদন্তের কোনো সুযোগ নেই। তবে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেয়া হয়েছে। কমিশনার অফিসে জমা দেয়া ভিডিওর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd