সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯
সারাদেশ সহ সিলেট নগরীতে ইদানিং অলি-গলিতে বেশীর ভাগ সময় দেখা মিলে মানসিক রোগী। যা সবার কাছে পাগল নামে পরিচিত। তবে তাদের বেশী ভাগ সময় দেখা যায় মাঝ রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার ফলে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় কোনো না কোনো গাড়ির।
উপজেলা থানা থেকে শুরু করে সব জায়গায় তাদের অবস্থান। নেই কোনো ঘরবাড়ী নেই কোনো সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র। রাত হলে রাস্তার পাশে বা দোকানের বারান্দায় শুয়ে বসে থাকতে দেখা যায়।নেই কোনো চলাচলের বা খাওয়ার রুটিন। তবে মাঝে মাঝে খাওয়ার জন্য হাত পাত্তে দেখা যায়। কখনো মন চাইলে নিবে না হয় ফেলে চলে যাবে।
এভাবেই চলছে দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর। গত কয়েকদিন আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মানসিক রোগী (পাগল) আহত হয়। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। সেই সময় গাড়ির চালক জাহিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমরা গাড়ি চালানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করে ডাইভিং করি। অনেক সময় তারা রাস্তার পাশে কেউ আবার রাস্তার মধ্যে দিয়ে হাঁঠে তখন আস্তে আস্তে যাই মাঝে মাঝে হঠাৎ করে দৌড়ে যায় তখন ব্রেক দরে অনেক চেষ্টা করলে ও ব্যাথ হই। তবে সিলেটের স্থানীয় কিছু ডাক্তার ও প্রভাবশালীদের সাথে কথা হলে জানা যায়, সিলেট সহ দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মানসিক রোগ।
গত ১২ মে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখেছিলাম , দেশে প্রতি ১০০ জনের ৩৪ জনই মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত। ক্রমান্বয়ে এ হার বেড়েই চলেছে। আর আক্রান্তদের মধ্যে তরুণের সংখ্যাই বেশি। বিষণ্ণতা ও অবসাদে ভোগা এসব রোগীর অনেকে একপর্যায়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। কেউ জেলায় জেলায় গড়ে বেড়াচ্ছে। তবে অনেকে মাদক, ধর্ষণ, জঙ্গীবাদসহ নানা অপরাধে।
বেকারত্ব, পরিবার ও কর্মস্থলে অবহেলা কারণে , পারিবারিক অশান্তি, যৌথ পরিবার ভেঙে সম্পর্কের বন্ধন হালকা হওয়া, মাদকের আগ্রাসন, যা সবার মস্তিষ্কে কোলে উঠে না। জীবনযাপনে প্রযুক্তির প্রতি অতি নির্ভরতাকে মানসিক রোগের কারণ হিসেবে দায়ী।তবে সিলেট শহর জুড়ে মানসিক (পাগল) রোগীর সংখ্যা বেশী যা দূর্ঘটনা ঘটাতে প্রভাব ফেলছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd