সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৫৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০১৯
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় মেঘালয়ের কোলঘেঁষা পর্যটন কেন্দ্র বিছনাকান্দি । স্বচ্ছ শীতল জল আর সারি সারি পাথরে এ যেন এক অপরুপ সৌন্দর্যের আধার এই পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে পর্যটকদের আগ্রহ সারা বছরই। এবারের ঈদেও এর ব্যতিক্রম নেই। সকাল থেকেই শহর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে হাজার হাজার লোকজন ভিড় করে এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে। সারাদেশের হাজারো পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে নয়নাভিরাম এই পর্যটন স্পট।
সিলেট নগরী থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট। সিলেটে প্রাকৃতিক স্বর্গরাজ্য হিসেবে খ্যাত বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারির জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন মনোরম পিকনিক স্পটটি। এখানে বর্ষাস্নাত প্রকৃতি যেন সেজে ওঠে সবুজের আচ্ছাদনে। যদিও সিলেটের মহাসড়কে উন্নীত হওয়ায় পর্যটকদের জন্য সহজ হলেও স্হানীয় বঙ্গবীর টু হাদারপার সড়কে অবস্থা খুবই খারাপ ।
ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঝরনার অশান্ত শীতল পানির অস্থির বেগে বয়ে চলা পিয়াইন নদীর উৎসমুখে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ের সবুজ মিলেমিশে একাকার। নদীর বুকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাথরের বিছানা নদীটির শোভা বাড়িয়ে দিয়েছে হাজারগুণ। শহুরে যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পেতে সারা বছরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। ঈদের দিন থেকে সিলেটের এই পর্যটন স্পটটি হয়ে ওঠে পর্যটকদের পদভারে মুখরিত। সারাদেশ থেকে সৌন্দর্য পিপাসু ভ্রমণ প্রিয় পর্যটকরা জড়ো হয়েছিলেন এখানে। কেউ বা পরিবার পরিজন নিয়ে আর কেউবা বন্ধু বান্ধবের সাথে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগে থেকেই নৌকা ভাড়া নির্ধারণ করে রাখায় পর্যটকদের তেমন একটা ভোগান্তিতে পড়তে হয় নি। এছাড়া ট্যুরিস্ট পুলিশের উপস্থিতি ও সীমান্তরক্ষী বিজিবির তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। এছাড়া এই পর্যটন কেন্দ্রে আসার ক্ষেত্রে আগে সবচেয়ে বড় অন্তরায় ছিল আনফরের ভাঙ্গার ব্রীজ নিমার্ণ করন ।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক আহমেদ সাইদ জানান, সপরিবারে বেড়াতে আসার জন্য বিছনাকান্দি জায়গাটি আমার প্রিয় পর্যটন স্পট। এর আগেও বহুবার এসেছি তবুও বার বার আসতে ইচ্ছে হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd