শ্রীমঙ্গলে প্রকাশ্যে চলছে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসা, নির্বিকার প্রশাসন

প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০১৯

শ্রীমঙ্গলে প্রকাশ্যে চলছে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসা, নির্বিকার প্রশাসন

Manual5 Ad Code

প্রাণী ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন। সরকার এই জন্য সারাদেশে পলিথিনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই নিষিদ্ধ পলিথিনের জমজমাট ব্যবসা চলছে এখন শ্রীমঙ্গলে। প্রশাসনের চোখের সামনে প্রতিদিন নিষিদ্ধ পলিথিন ক্রয়-বিক্রয় হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই তাদের।

Manual1 Ad Code

শ্রীমঙ্গলের ছোট বড় সব বাজার, দোকানসহ অলিগলির প্রতিটি স্থানেই মিলছে পরিবেশ দূষণকারী পলিথিন। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ এইচডিপিই (হাইয়ার ডেনসিটি পলি ইথালিন) পলিব্যাগ। যার ব্যবহার মানুষের জীবনে মারাত্মক ক্ষতি করলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নীরব থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।

এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পলিব্যাগ উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। সেখান থেকে এনে ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে হাট বাজারে ব্যবহার করছেন। অপচনশীল এই পলিথিন যত্রতত্র ফেলার কারণে পানি মাটি ও বাতাস দূষিত হয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগ-ব্যাধিতে। এ ছাড়াও পানি চলাচলের নালা, নর্দমা, খালবিল যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়ছে এতে পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে জলজটের সৃষ্টি হচ্ছে। জমে থাকা পানিতে ব্যাকটেরিয়াসহ নানা রোগ জীবাণু ছড়াছে। পলিথিন হাতের নাগালে পাওয়ার কারণে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়ছে না।

Manual3 Ad Code

সিমেন্ট সারসহ ১৪টি পণ্যে পলিব্যাগ ব্যবহারের অনুমোদন থাকলেও এর বাইরে চলছে পলিথিনের অগাধ ব্যবহার। ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পাট ও পাট দিয়ে উৎপাদিত পণ্যের কারখানা। এই দিকে মানুষের জীবনমান ও পরিবেশ রক্ষায় সরকারিভাবে সারাদেশে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।

শ্রীমঙ্গলের বাজার ঘুরে দেখা যায় পৌরসভা শহরের স্টেশন রোডের মেসার্স মর্ডান ভেরাইটিজ স্টোর,লোকনাথ ভেরাইটিজ স্টোর,নতুন বাজার রোডের মেসার্স বিসমিল্লাহ স্টোর দোকানগুলোতে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে প্রথম পলিথিন ব্যাগের বাজারজাত ও ব্যবহার শুরু হয়। এটি সহজে পরিবহন ও স্বল্প মূল্যে পাওয়ার কারণে অল্প সময়ে মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে যায়। কিন্তু ব্যবহারের পর এটি যত্রতত্র ফেলার কারণে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটায় এবং এটি ক্ষতিকারক পণ্য হিসেবে চিহ্নিত হয়। পরিবেশ বাঁচাতে সরকার ২০০১ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করলে সাধারণ মানুষ সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল। এরপর বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে দোকান থেকে পলিথিন জব্দ করা হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কারখানা। কিন্তু পলিথিনের ব্যবসা বা ব্যবহার বন্ধ হয়নি। ক্ষতিকারক এই পলিথিন বন্ধের লক্ষ্যে ২০০২ সালে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাত, ক্রয়-বিক্রয়, প্রদর্শন, মজুদ ও বিতরণ নিষিদ্ধ করে। এবং আইন করেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় এ পণ্যটি নিষিদ্ধের পরও অবাধ ব্যবহার অব্যাহত থাকে।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

August 2019
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..