সিলেটের বিশ্বনাথে লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে আয়ফুল বেগম (৫৫) নামে চার সন্তানের জননীকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের দোহাল গ্রামের মৃত ফজর আলীর স্ত্রী। গত ৩ আগস্ট শনিবার দিবাগত রাতে তিনি তার বসতঘরে মারা যান। আয়ফুলকে হত্যার অভিযোগ এনে বুধবার সন্ধ্যায় তার বড় মেয়ে নাসিমা বেগম থানা পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে একই গ্রামের মনু মিয়ার পুত্র (আয়ফুলের মেয়ের জামাই) নুর উদ্দিন (৩৫), বড় ভাই মখলিছ আলী (৬৫) ও ইলিয়াস আলী (৫৮) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বৃহষ্পতিবার বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম ও থানার ওসি মো. শামীম মূসা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
নাসিমা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার মা আয়ফুল বেগম গত ২৮ জুলাই দুলাভাই নুর উদ্দিনকে সাথে নিয়ে ঘর নির্মাণের জন্যে একটি এনজিও সংস্থা থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এরপর থেকে এই টাকা আত্মসাৎ করতে সে আমার মাকে কৌশলে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে আসছিল। একইভাবে ৩ আগস্ট রবিবার রাতেও মাকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে দেয় নুর উদ্দিন। ওই রাতেই কোনো এক সময়ে নিজের শয়ন কক্ষে তিনি মারা যান। পরদিন সকালে সবার আগে রহস্যজনকভাবে চা নিয়ে এসে আমার মাকে নুর উদ্দিন ডাকাডাকি করে। পরে লোকজন দরজা খুলে মাকে উদ্ধার করেন। এ সময় তার মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং তার বুক ফুলা ছিল। কক্ষের কার্পেটের নীচে ছিল ঘুমের ট্যাবলেটের খোসা। তাকে উদ্ধার করা হলেও তার পুরো শয়ন কক্ষ খুঁজে ১ লাখ টাকার কোনো হদিস মেলেনি। টাকার বিষয়ে কিছু জানো কিনা-এমন প্রশ্ন করলে নুর উদ্দিন সন্দেহজনক কথাবার্তা বলে। সে এলাকার একটা চিহ্নিত চোরও।’
ঘটনাস্থলে যাওয়া থানার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা বলেন, নুর উদ্দিনকে আসামী করে মামলার এজাহার প্রস্তুত করা হচ্ছে। বাকী আটকদেরকে তদন্তের স্বার্থে থানায় রাখা হয়েছে।
থানার ওসি মো. শামীম মূসা প্রতিবেদককে জানান, এ ঘটনায় একজনকে আসামী করে মামলা দেয়া হয়েছে।
Sharing is caring!