সিলেট ১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০১৯
গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে সরকারী দায়িত্ব পালন করছেন এক কারারক্ষী (নং-০০৬২১)। তার নাম মো. উজ্জল হোসেন ।
তিনি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার খারিজ্জমা গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার পুত্র। গত ১১ জুলাই সিলেট মেট্রোপলিটন-১ম আদালত দায়ের করা একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেওফতারী পরোয়ানা জারি করেন। সিআর শাহপলাণ মামলা (নং-২১৬/২০১৯)। মামলাটি দায়ের করেন তার স্ত্রী এক কন্যাসন্তানের জননী জহুরা ইসলাম নাজনীন।
অভিযোগে প্রকাশ, মো. উজ্জল হোসেন কারারক্ষীর চাকরি নেয়ার পর গত ২০১৬ সালের ২১ শে আগস্ট ৪ লাখ টাকা দেনমোহরে জহুরা ইসলামকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর জহুরার কোলজুড়ে আসে এককন্য সন্তান যার বর্তমান বয়স ২। বিয়ের পর থেকে বিদেশ যাত্রাসহ বিভিন্ন অজুহাতে উজ্জল ও তার পরিবার নাজনীনের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় উজ্জর ও তার পরিবার নাজনীনকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এনিয়ে কয়েকদফা সালিশ নিষ্পত্তি হলেও নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি জহুরা ইসলাম নাজনীন। এরইমধ্যে স্ত্রী-কন্যা নিয়ে কারারক্ষী উজ্জল শহরতলী বাদাঘাদে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের খোয়াই ভবনের বাসায় নিয়ে যায় ।সেখানে থাকাবস্থায় গত ২৪ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত যৌতুকের জন্য নাজনীনকে মারপিট করে সন্তানসহ তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। আর এহেন ািনর্যাতন ও নিগীড়নে প্ররোচনা দেন উজ্জলের মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এ ঘটনায় জহুরিরা ইসলাম না জনীন গত ১১ জুলাই মামলা করলে আদালত কারারক্ষী মো. উজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। ইতোমধ্যে গ্রেফতারী পরোয়ানা শ্রীমঙ্গল থানাসহ আইনশৃংখলঅ রক্ষা বাহিনীর কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তথ্যগোপনের মাধ্যমে উজ্জল হোসেন কারারক্ষীর মত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। যৌতুক দাবি ছাড়াও উজ্জল পরকীয়া প্রেমে আসক্ত বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী উজ্জলের সাথে মোবাইলন ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির সত্যতা স্বীকার করে জানান, সময় স্বল্পতায় তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে পরছেন না বলে জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd