ঈদকে সামনে রেখে তাহিরপুর সীমান্তে চিহ্নিত চোরাচালানীরা তৎপর

প্রকাশিত: ১০:১৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০১৯

ঈদকে সামনে রেখে তাহিরপুর সীমান্তে চিহ্নিত চোরাচালানীরা তৎপর

Manual6 Ad Code

বিজিবির সুনামগঞ্জ সিওর কঠোর নজরদারী ও তৎপরতা থাকার র্দীঘ দিন ধরে চোরাচালানীদের শক্তিশালী গ্রæপ কোনঠাশা। আর গত এক মাস ধরে চোরাচালানী ও তাদের সহযোগীদের বিরোদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ না হওয়ায় তারা আরো বেশী মাথা ছড়া দিয়ে উঠেছে। তারা কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে আবারও সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে চিহ্নিত চোরাচালানীদের শক্তিশালী গ্রæপ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট ও পাহাড়ী ছড়া দিয়ে কয়লা,চুনাপাথর,মদ,গাজা,ইয়াবা ট্যাবলেট,গরু,ঘোড়াসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। তাই দেশ,যুবসমাজ ও সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে বিজিবির আরো দুরদর্শী,বিচ্ছক্ষন ও কঠোর নজরধারীর প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যবসায়ী ও জেলাবাসী।

Manual1 Ad Code

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাযায়,উপজেলা সীমান্তের লাউড়েরগড় থেকে বাগলী পর্যন্ত সীমান্তের চিহ্নিত চাঁদাবাজ, বিজিবি, পুলিশ, সাংবাদিক, স্থানীয় ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের র্সোস পরিচয়ধারী, চোরাচালানীরা ও বিজিবির দায়েরকৃত মামলার আসামীদের একত্রে রয়েছে একটি শক্তিশালী গ্রæপ।

চোরাচালানীরা তাদের সহযোগীতা নিয়ে পুলিশ,বিজিবি,সাংবাদিকদের নামে চাঁদা তুলে সীমান্তের গরীব অসহায় দিনমজুর লোকদেরকে দিয়ে রাতের আধারে মোটা অংকের টাকা দিয়ে কয়লা,চুনাপাথর,মদ,গাজা,হেরোয়িন,ইয়াবা ট্যাবলেট,গরু,ঘোড়াসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল ভারত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনছে। পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচাঁর হচ্ছে। এসময় বিজিবি টহলদল কিছু মালামাল আটক করলেও এর সাথে জরিত চোরাচালানীরা আটক না হয়ে থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাহিরে। অনেক সময় বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ ও র‌্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মদ,ইয়াবা,গাজাসহ ব্যবসায়ীদের আটক করছে। ফলে দীর্ঘ ২যুগ ধরে চোরাচালানীরা সীমান্তে রাম রাজ্যত্ব কায়েম করে কোটিপতি হয়েছে।

Manual4 Ad Code

সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় জিয়া,নয়নসহ এলাকাবাসীর কাছ থেকে আরো জানাযায়, চোরাচালানীরা কিছু সাংবাদিক নামধারী ব্যাক্তিদের দৈনিক ও মাসে মাসোহারা দেয়। ফলে তারা সীমান্তের অবৈধ কাজের সংবাদ প্রকাশ না করে বিজিবিকে ম্যানেজ করে তাদের সাথে থেকে রাতারাতি আলাদিনের চেরাগ পাবার মত গাড়ি,বাড়ি,দোকান,ছেলে-মেয়েদের সিলেটে নামীধামী স্কুলে লেখা পড়া করাচ্ছে। তারাই ভাল সেজে বিজিবির সিওসহ প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাদের সাথে ছবি তুলে আবার দানশীলও সাজেছে। তাদের আয়ের উৎস টা কি ? কোথা থেকে আসে তাদের এত টাকা। তাদের খুটিঁর জোড় কোথায় ? যাচাই করলেই গোমড় ফাঁস হবে।

সীমান্তের বসবাসকারী স্থানীয় বাসীন্দা অনেকেই বলেন,আমাদের চোখের সামনে সব হচ্ছে। যে এক-দুজন সাংবাদিক চোরাচালানীদের নাম উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করে ও চোরাচালান করার সময় বিজিবিকে খবর দেয় তাদের বিরোদ্ধে সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজ,চোরাচালানী,ক্ষমতাশীল লোকজন এবং বিভিন্ন মামলার আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশ ও বিজিবি অন্যান্য প্রশাসনের উর্ধবতন কর্মকর্তাদের কাছে নানান ভাবে মনগড়া কল্প কাহিনী বলে।

Manual4 Ad Code

কঠোর নজরদারী করার কারনে সুনামগঞ্জ বিজিবি সিওকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার দৃষ্টি আর্কশন করে ব্যবসায়ী শফিকুল,নজরুলসহ বড়ছড়া,ছারাগাঁও ও বাগলী শুল্কষ্টেশনের ব্যবসায়ীরা জানান,চোরাচালানী ও মাসোয়ারা নিচ্ছে শ্রেনী পাশ সাংবাদিক নামধারীসহ তাদের নাম বিভিন্ন সময় পত্রিকায় আসে এবং মামলাও আছে। চোরাচালান বন্ধে তাদের বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার দাবী জানান।

সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন(২৮,বিজিবি)অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মাকসুদুল আলম বলেন,সীমান্তে আমাদের কঠোর নজরদারী রয়েছে। কোন অন্যায়কারীকে ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর ভাবে ধমন করা হবে।

Manual5 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..