কারাগারে নার্সের পরামর্শে চলছে মিন্নির চিকিৎসা

প্রকাশিত: ৩:০৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০১৯

কারাগারে নার্সের পরামর্শে চলছে মিন্নির চিকিৎসা

Manual7 Ad Code

বরগুনায় আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি শারীরিকভাবে অসুস্থ—এমন দাবি মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর ও তার আইনজীবী মাহবুবুল বারির।

Manual6 Ad Code

কিন্তু এখনও কারাগারে কোনও চিকিৎসক মিন্নিকে দেখেননি। নার্সের পরামর্শে তাকে মাথাব্যথার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বরগুনার জেল সুপার বলেছেন, মিন্নির মাথাব্যথা ছাড়া আর কোনও অসুস্থতা নেই। এ কারণে তাকে চিকিৎসক দেখানোর প্রয়োজন হয়নি।

জেল সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, মিন্নির শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তিনি বলেন, ‘তার মাথাব্যথা হয়েছিল। আমাদের নার্সরা তাকে মাথাব্যথার ওষুধ দিয়েছে। এখন মাথাব্যথাও নেই। তবে তাকে অনেক হতাশ দেখা যাচ্ছে। বেশিরভাগ সময় তিনি চুপচাপ থাকছেন।’

Manual4 Ad Code

জেল সুপার বলেন, ‘কারাগারের খাবার খেতে তার সমস্যা হচ্ছে। তবে তার জন্য পিসি কার্ড করা হয়েছে। সেখানে তার বাবা টাকা দিয়েছেন। এই কার্ড দিয়ে তিনি কারা ক্যান্টিন থেকে যেকোনও খাবার খেতে পারবেন।’

তিনি আরও জানান, বরগুনা জেলা কারাগারের নারী ওয়ার্ডে বর্তমানে মিন্নিসহ মোট ১৫ জন বন্দি আছেন। রিফাত হত্যা মামলার আরও ১৩ আসামি এই কারাগারের বিভিন্ন সেলে রয়েছে। আলাদা আলাদা রাখা হলেও দিনের বেলা তাদের নিজেদের মধ্যে দেখা হয়। কারাগারটি পরিসরে ছোট হওয়ায় আসামিদের পরস্পরের দেখা-সাক্ষাৎ একেবারে বন্ধ রাখা যায়নি বলেও জানান জেল সুপার।

মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারি আসলাম বলেন, ‘মিন্নির গায়ে ব্যথা। তিনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটেন। তার চিকিৎসা দরকার। চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আমরা জেল কর্তৃপক্ষকে বলেছি।’

Manual6 Ad Code

বরগুনা জেলা কারাগারে তিন জন ডিপ্লোমা নার্স রয়েছেন। কারাগারে কোনও বন্দি অসুস্থ হলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাবীবুর রহমান ব্যবস্থাপত্র দেন। তবে মিন্নিকে এখনও তিনি দেখেননি উল্লেখ করে জেল সুপার বলেন, ‘তাকে দেখানোর মতো অসুস্থতা নেই।’

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজির নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ওইদিন বিকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত শরীফ মারা যান।

Manual8 Ad Code

এ ঘটনায় পরদিন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি ছিল নয়ন বন্ড। এরপর গত ২ জুলাই ভোর রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় সে।

এ মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। পরে তাকেও আসামি করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মিন্নিসহ এ পর্যন্ত ১৩ আসামি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..