ছেলেধরা সন্দেহে কাঁঠাল ব্যবসায়ীদের গণপিটুনি, ৪ পুলিশ আহত

প্রকাশিত: ১২:০২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০১৯

ছেলেধরা সন্দেহে কাঁঠাল ব্যবসায়ীদের গণপিটুনি, ৪ পুলিশ আহত

Manual3 Ad Code

বগুড়ার গাবতলীতে ছেলেধরা সন্দেহে বিক্ষুব্ধ জনগণ চার ব্যক্তিকে আটক করে মারপিট করেছেন। এ সময় তাদের পিকআপ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তারা ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। পুলিশ তাদের থানায় আনার চেষ্টা করলে হাজার হাজার মানুষ পুলিশের ওপর চড়াও হন। ওই চারজনকে তাদের হাতে তুলে দেবার দাবিতে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে ৪-৫ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে প্রায় চার ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের নিয়ে থানায় ফিরে আসে।

গাবতলীর দূর্গাহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকাল ৩টার দিকে চার ব্যক্তি একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে দূর্গাহাটা হাটের কাছে আসে। আশপাশে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। তারা ভ্যান থেকে নামলে স্থানীয় জনগণ তাদের ছেলেধরা সন্দেহ করেন। একপর্যায়ে মারপিট শুরু করলে ওরা দৌড়ে পাশের দূর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আশ্রয় নেন।

ঘটনাটি প্রচার হলে পাশের হাট থেকে হাজার হাজার মানুষ সেখানে ছুটে আসেন। তারা প্রথমে ওই ব্যক্তিদের আনা পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেন।

খবর পেয়ে গাবতলী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে থানার ওসি সেলিম হোসেন ও কয়েকজন ফোর্স ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ আটক চার ব্যক্তিকে থানায় আনার চেষ্টা করলে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা তাদেরকে জনগণের হাতে তুলে দেবার দাবি তোলেন।

Manual3 Ad Code

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও পুলিশ সেখানে আনা হয়। জনগণ বিক্ষোভ প্রদর্শন ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করেন। তখন পুলিশও লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।

পুলিশ সেখান থেকে উসকানিদাতা সন্দেহে ১০-১২ জনকে আটক করে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে জনগণ কিছুটা শান্ত হলে পুলিশ ছেলেধরা সন্দেহে হামলার শিকার ফাহিম, দুলাল, নিয়ামুল ও লুৎফর রহমানকে গাবতলী থানায় নিয়ে আসে।

Manual3 Ad Code

সাবেক চেয়ারম্যান হান্নান আরও জানান, ওই চার ব্যক্তি কাঁঠাল ব্যবসায়ী। তারা কাঁঠাল কেনার জন্য দুর্গাহাটা হাটে এসেছিলেন।

বগুড়ার গাবতলী সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ছেলেধরা সন্দেহে জনগণ চার ব্যক্তিকে আটক করেছিলেন। তারা ইউপি পরিষদে আশ্রয় নেয়। জনগণ তাদের পিকআপ ভ্যান পুড়ে দিয়েছেন। উদ্ধার করতে গেলে জনগণ ওদেরকে তাদের হাতে তুলে দেবার দাবি করেন। তারা পুলিশের কাজে বাধা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে তাদের ৪-৫ জন পুলিশ আহত হন।

এ ঘটনায় উসকানি দেয়ায় ১০-১২ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রায় ৪ ঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে থানায় ফিরে আসেন।

তিনি আরও জানান, ছেলেধরা সন্দেহে আটক ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া আটকদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি পুড়িয়ে দেয়ায় মামলা হবে।

Manual2 Ad Code

গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান ও বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রফি নেওয়াজ খান রবিন জানান, ছেলেধরা সন্দেহে জনগণ চার ব্যক্তিকে আটক করেন। তাদের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। হাটের দিন হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ সেখানে আসেন।

তিনি আরও বলেন, এটা সাবোটাজও হতে পারে।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..