সিলেটে দেড় কোটি টাকা ব্যয় ফুটওভার ব্রিজ, বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২২ লাখ টাকায়

প্রকাশিত: ৭:১৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০১৯

সিলেটে দেড় কোটি টাকা ব্যয় ফুটওভার ব্রিজ, বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২২ লাখ টাকায়

Manual1 Ad Code

স্থাপনকালেই আপত্তি উঠেছিলো। প্রশ্ন ওঠেছিলো এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। তবু সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে স্থাপন স্থার হয় পদচারী সেতু (ফুটওভার ব্রিজ)।

স্থাপনের পর থেকেই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে এটি। মাঝখানে এটি দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। তবে স্থাপনের চার বছর পর এবার সিলেটের প্রথম এই পদচারী সেতুটি বিক্রি করে দিচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন। তাও বিক্রি হচ্ছে নামমাত্র মূল্যে।

প্রায় দেড় কোটি টাকার ফুটওভার ব্রিজ বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ২২ লাখ টাকায়। সিলেট সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানান্তরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাই বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই পদচারী-সেতু।

Manual8 Ad Code

অনেকটা অপরিকল্পিত ভাবে ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ঘোষণা দেন এই পদচারী-সেতু নির্মাণের। এ ঘোষণার সাত বছরের মাথায় যখন এটি বাস্তবায়ন শুরু হয়, তখন অনেকেই এই স্থানে পদচারী-সেতু স্থাপন অপ্রয়োজনীয় মনে করে এ নিয়ে বিরোধীতা করেন। তবু প্রকল্পটি ‘অর্থমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প’ হওয়ায় দ্রুত বাস্তবায়িত হয়।

‘ফুটওভারব্রিজ প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করা হয় বাংলাদেশ ইস্পাত অ্যান্ড প্রকৌশল করপোরেশনের নিজস্ব কোম্পানি ‘চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেড’ এর মাধ্যমে। ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ পদচারী-সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০১৫ সালের ২১ মে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। চার মাসের মাথায় নির্মাণকাজ শেষে এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর।

সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৮ জুলাই তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উপস্থিতিতে মহানগরের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে পর্যালোচনা সভায় পদচারী-সেতু স্থানান্তর করে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বরে স্থাপনের প্রস্তাব ওঠে। পরবর্তিতে দেখা যায় স্থানান্তর করতে খরচ পরবে ৪০ লক্ষ টাকা। তাই এই পদচারী-সেতু অপসারনের জন্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সিসিক। এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গত ২০ জুন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেয়। ৭ জুলাই ছিল দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। ওই দিন পর্যন্ত অংশগ্রহণকারী দরদাতা প্রত্যাশিত না হওয়ায় নগরের কাজীরবাজার এলাকার ৭৫ জন ভাঙারি ব্যবসায়ীর সমন্বয়ে একটি ‘গ্রুপ’কে ২২ লাখ টাকায় সেতুর সরঞ্জাম ক্রয়ের সুযোগ দেওয়া হয়।

Manual5 Ad Code

কোটি টাকা মূল্যের এই সেতুটির বিক্রয় মূল্য নিয়ে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ও সিসিকের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্টরা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তারা মনে করেন প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি স্থাপনার মূল্য অন্তত অর্ধেক হওয়া উচিত ছিল।

Manual7 Ad Code

সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, এই সেতুটি স্থানান্তর করা অনেক ব্যায়বহুল। বিক্রি করা হলে অন্তত কিছু টাকা পাওয়া যাবে। তাই এটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রিও অবগত আছেন। তবে কার কাছে কত টাকায় বিক্রি হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পরবর্তীতে সভার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..