সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেবে পিবিআই

প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০১৯

সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেবে পিবিআই

Manual6 Ad Code

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা যা করণীয়, সব করা হবে। এ কথা বলেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

Manual7 Ad Code

তিনি আরও বলেন, রাফি হত্যা মামলায় ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকিদের সাক্ষ্য নেয়া শেষ হবে। ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলাকে যাতে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা না যায়, সে বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি।

Manual1 Ad Code

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের প্রক্রিয়া চলছে। পিবিআই প্রধান বলেন, রাফি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ওসি মোয়াজ্জেমের ভিডিও ধারণ প্রক্রিয়াটি ছিল বিধিবহির্ভূত। তবে গ্রেফতারের সময় হাতকড়া না পরানোয় আইনগত কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। তিনি বলেন, নারীরা আজ আপনজনদের কাছেও নিরাপদ নয়। এমনকি বান্ধবীরাও এখন তাদের বান্ধবীদের কাছে নিরাপদ নয়। বান্ধবীরা নিজের বান্ধবীকে ধর্ষকদের (পুরুষ বন্ধু) হাতে তুলে দিচ্ছে।

Manual5 Ad Code

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত নারী নিপীড়ন কমাতে মূল্যবোধের চর্চা নিয়ে এক ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বনজ কুমার মজুমদার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজকে হারিয়ে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া বিজয়ী হয়। ‘সাহসিক নুসরাত, তুমিই যুক্তি তুমিই প্রতিবাদ’ এ স্লোগানে প্রতিযোগিতাটি রাজধানীর এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয়।

বনজ কুমার মজুমদার আরও বলেন, বাংলাদেশে আইন আছে, শাস্তি আছে, প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করছে। তারপরও কোথাও যেন একটু ত্রুটি রয়েছে, তা উদ্ঘাটন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দেশে কোনো না কোনো আদালতে গড়ে প্রতিদিন একজনের ফাঁসির রায় হচ্ছে। তারপরও সব অপরাধের বিচার দ্রুততম সময়ে করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে হাজার হাজার আসামি ডেথ রেফারেন্সের শুনানির জন্য অপেক্ষা করছে। পৃথিবীতে এমন নজির নেই, যেখানে এত লোক ফাঁসির জন্য অপেক্ষা করছে।

Manual6 Ad Code

পিবিআই প্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রতার সংস্কৃতি আছে। বিচার পেতে আট থেকে দশ বছর লেগে যায়। এ ব্যবস্থা মেনে নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়। মিডিয়ায় যা আসে, তার থেকেও আরও বেশিকিছু ঘটে। তাহলে দেশের অবস্থা বুঝেন। সত্য উদ্ঘাটনের জন্য সেগুলোও আমরা বিচারের আওতায় নিয়ে আসি। সেক্ষেত্রে আমাদেরও ব্যর্থতা আছে, তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত বিকল্প কিছু না বের হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এটাকেই মেনে নিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, নির্যাতিত নারীরা যদি সঠিক সময় উপযুক্ত বিচার পেত, তাহলে হয়তো আমাদের তনু থেকে রূপা, রূপা থেকে শাহনুর, শাহনুর থেকে নুসরাত কিংবা সিলভারডেল স্কুলের শিশু সায়মার ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেখতে হতো না। রাফি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা দেখেছি থানা-পুলিশ, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের প্রত্যেকটি স্তরের ব্যর্থতা। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা, সাংবাদিক আবদুল্লাহ তুহিন ও ড. এসএম মোর্শেদ।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..