সুনামগঞ্জে বন্যা আক্রান্ত ১৩ হাজার ১’শ পরিবার: ৩’শ মেট্রিকটন চাল প্রয়োজন

প্রকাশিত: ১০:৩৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০১৯

সুনামগঞ্জে বন্যা আক্রান্ত ১৩ হাজার ১’শ পরিবার: ৩’শ মেট্রিকটন চাল প্রয়োজন

Manual6 Ad Code

টানা কয়েকদিনের প্রবলবর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় বন্যা আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ১’শ পরিবার। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জেলা দুযোর্গ ব্যবস্থাপনাপনা ও ত্রাণ শাখার বরাতে প্রকাশিত স্বারকে এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

Manual1 Ad Code

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সুনামগঞ্জ দুযোর্গ ব্যবস্থাপনাপনা ও ত্রাণ শাখার স্বারকে প্রকাশিত প্রবল বৃষ্টিপাত এবং নদীর পানি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জরুরী প্রতিবেদন সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলা শহরঘেষা সীমান্ত নদী সুরমার পানি প্রবাহের উচ্চতা ০৮.০৪ মিটার রেকর্ড করা হয়। যা বিপদ সীমার ০.৮৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দিনভর গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৬৮ মিলি মিটার।,পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পুর্ভাবাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘন্টায় নদীর পানি বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে।,

স্বারকে আরো উল্ল্যেখ করা হয়, ইতিমধ্যে প্রবল বর্ষণে বজ্রপাত পড়ে জেলার জামালগঞ্জে সাবিদুর রহমান ও তার শিশু সন্তান স্কুল ছাত্র অন্তর এ দুইজন নিহত হন।

কয়েকদিনের টানা বর্ষণে জেলা সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারবাজার, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, দিরাই ও শাল্লা উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

Manual2 Ad Code

জেলা দুর্গোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বুধবারের সভায় দুর্গোগ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেয়ার পর বৃহস্পতিবার উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অনরুপ সভার মাধ্যমে দুর্গোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয়া হয়। একটি জাতীয় দৈনিকে বন্যা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর সহ বিভিন্ন উপজেলায় ২৫০০ ’শ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়।

Manual1 Ad Code

এছাড়াও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার সদর উপজেলায় ২৯৫০, তাহিরপুরে ৪১০০, বিশ্বম্ভরপুরে ১৪০০, দোয়ারাবাজারে ২৮৫০, জামালগঞ্জে ১৮০০’শ পরিবার সহ মোট ১৩ হাজার ১’শ পরিবারকে বন্যা আক্রান্ত হিসাবে চিহ্নিত করে সরকারি সহায়তা হিসাবে ৩০০ মেট্রিকটন জিআর চাল, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর,তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার এ পাঁচ উপজেলায় ৫০ হাজার করে আড়াই লক্ষ টাকা জিআর ক্যাশ বরাদ্দ দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ এপ্রতিবেদককে আরো বলেন, ১২৩৫ প্যাকেট শুকনো খাবার, জিআর ২০০ মেট্রিক টন চাল জরুরী প্রয়োজনে মজুদ রাখা হয়েছে এমনকি জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় জিআর ক্যাশ ১০ লক্ষ টাকা, ৫০০০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, জিআর ৩০০’শ মেট্রিক টন চাল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে বরাদ্দ চেয়ে চাহিদাপত্র জরূরী ভিওিতে বৃহস্পতিবার সকালেই প্রেরণ করা হয়েছে। ,

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..