সিলেটের আন্তঃনগর ট্রেনে হিজড়াদের উৎপাতে অসহায় যাত্রীরা

প্রকাশিত: ৪:২৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০১৯

সিলেটের আন্তঃনগর ট্রেনে হিজড়াদের উৎপাতে অসহায় যাত্রীরা

Manual2 Ad Code

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া স্টেশন থেকে সিলেট কিংবা শ্রীমঙ্গল এক ঘণ্টার যাত্রাপথেও হিজড়াদের জন্য টাকা আলাদা করে রাখতে হয় যাত্রীদের। আর সঙ্গে নবজাতক থাকলে দ্বিগুণ তিনগুণ টাকা গুণতে হয়।

না দিলে নানাধরনের অশালীন আচরণ এমনকি হেনস্তা করে হিজাড়া চক্রটি। ভয়ে কেউ এদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না।

Manual1 Ad Code

ঢাকা থেকে কুলাউড়া পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে কুলাউড়া আসেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লুৎফুল হক।

তিনি জানান, বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার পর এক গ্রুপ এসে টাকা চায়। ১০ টাকা দিয়ে ভাবলেন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া গেল। কিন্তু তিনি আদৌ মুক্তি পাননি।

লুৎফুল হক জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসার পর আরেক গ্রুপ। এবার বিরক্ত হয়ে দিলেন ১০ টাকা। কিন্তু ট্রেন শ্রীমঙ্গল ছাড়ার পর আরেক গ্রুপ। টাকা দিতে না চাইলে সবার সামনে তার গাল চেপে ধরে এক হিজড়া। এবার বাধ্য হয়ে দিতে হলো ১০ টাকা। কুলাউড়া স্টেশনে নেমে তিনি যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন।

একই কথা জানালেন ট্রেনের অন্য যাত্রীরা।

এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে যাবার উপায় নেই। ওরা যেন যাত্রীদের টার্গেট করে টাকা চায় বলে জানালেন ট্রেন যাত্রী সিপার উদ্দিন আহমেদ।

Manual7 Ad Code

তিনি জানান, যাত্রীরা টাকা দিতে বাধ্য। নয়তো হেনস্তা করে ফেলে। তিনি আরও জানান, তার পাশে এক দম্পতি নবজাতক নিয়ে সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গল ফিরছিলেন। তাদের কাছে হিজড়ারা ৫শ টাকা দাবি করে। কিন্তু তিনি প্রথমে ৫০ টাকা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। কোনোমতে অন্য যাত্রীদের সহযোগিতায় ১০০ টাকা দিয়ে রক্ষা পান।

শুধু পারাবত নয় সিলেট থেকে ঢাকা ও চট্রগ্রামগামী আন্তঃনগর সব ট্রেনেই এভাবে বেপরোয়া চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত তৃতীয় লিঙ্গ খ্যাত হিজড়া। তাদের রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। শুধু হিজড়া নয় আন্তঃনগর ট্রেনে হকারদের দৌরাত্ম্যেও অতিষ্ঠ যাত্রীরা।

Manual2 Ad Code

ট্রেন যাত্রীদের মতে, এসব হিজড়াদের উৎপাত ও চাঁদাবাজি থামাতে উদ্যোগ নিতে হবে রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী অর্থাৎ জিআরপি পুলিশের। এসব নিয়ন্ত্রণকারী রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী এদের আয়ের ভাগ পায়। ফলে তারা হকার কিংবা হিজড়াদের উল্টো নিরাপত্তায় বেশি ব্যস্ত থাকে।

Manual7 Ad Code

হিজড়াদের বিভিন্ন গ্রুপের কথা স্বীকার করে কুলাউড়া জিআরপি থানার ওসি মো. আবদুল মালেক জানান, এরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকে। ফলে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। আইনগতভাবে এদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। হিজড়া বলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..