সিলেটী হওয়ার কারণে পুরো বিশ্বকাপে দর্শক হয়েই থাকলেন রাহী

প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০১৯

সিলেটী হওয়ার কারণে পুরো বিশ্বকাপে দর্শক হয়েই থাকলেন রাহী

Manual2 Ad Code

ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং কোনো কিছুতেই এবার বিশ্বকাপে ছিলেন না পেসার আবু জায়েদ রাহী। অথচ এই পেসারকে দলে নিতে কত যুক্তিই-না দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট!

Manual3 Ad Code

এত আয়েশ করে কে কবে খেলা দেখেছিল কে জানে! টিকিট কেনার ঝঞ্ঝাট নেই, রোদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে খেলা দেখার ঝামেলা নেই। আয়েশ করে একদম ড্রেসিংরুমে বসে দর্শক হয়ে খেলা দেখা। আবু জায়েদ ভাগ্যবানই বটে। সম্ভাব্য সেরা আসন থেকে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের খেলা দেখেছেন আবু জায়েদ।

এমন সৌভাগ্য কজন দর্শকের ভাগ্যে জোটে! এ জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ দিতেই পারেন আবু জায়েদ। মাশরাফিদের সঙ্গে বেশ আরামেই অন্তত দর্শক হয়ে বিশ্বকাপে যেতে পেরেছেন! এমন সুযোগই-বা কজনের হয়?

Manual8 Ad Code

বিশ্বকাপের আগে তাঁকে দলে নেওয়া নিয়ে কত কিছুই-না হলো। তাসকিন নাকি রাহি? এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই ঘাম ছুটে গিয়েছিল বিসিবির। অনেক চেষ্টার পর অঙ্ক কষে উত্তর পাওয়া গেল । ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে আবু রাহিকে ছাড়া নাকি চলবেই না মাশরাফিদের। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে নাকি তাঁর সুইং খুব কাজে লাগবে। যে বোলার সুইং করাতে পারে তাঁকে তো সমাদর করতেই হয়। টিম ম্যানেজমেন্ট সেই সমাদরটুকু করলেনও বটে।

বিশ্বকাপে অন্য সব দল যখন গতিময় পেসার নিতে ব্যস্ত, বাংলাদেশ দল তখন খালেদ, ইবাদত কিংবা তাঁদের চেয়ে অভিজ্ঞ তাসকিনকে দলে নেয়নি। ১৫ সদস্যের দলে জায়েদের নাম টুকে দেওয়া হয়েছে মেঘলা কন্ডিশনে তাঁকে ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু যে জন্য ইংল্যান্ডে যাওয়া সেখানেই নেই এই পেসার। মূল একাদশে সুযোগ পাওয়া তো বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ফিল্ডিং করতেও মাঠে দেখা যায়নি তাঁকে। একমাত্র অনুশীলনে গা গরম করা ছাড়া কোথাও দেখা যায়নি তাঁকে।

Manual7 Ad Code

ভারতের বিপক্ষে হারার পরই বাংলাদেশের সেমিফাইনালের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। ভাবা হচ্ছিল পাকিস্তানের সঙ্গে শেষ ম্যাচে হয়তো দলে সুযোগ পাবেন জায়েদ। আশায় গুড়েবালি, শেষ ম্যাচে দলে দুটো পরিবর্তন এলেও জায়গা হয়নি এই বোলারের। পুরো বিশ্বকাপটা শেষমেশ তাই দর্শক হিসেবেই থাকতে হলো।

Manual5 Ad Code

এটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। প্রথম দুই বিশ্বকাপেই শুধু স্কোয়াডে থাকা সব খেলোয়াড় মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর তিন বিশ্বকাপে চারজন বাংলাদেশির এমন দশা হয়েছিল। ২০০৭ বিশ্বকাপে রাজিন সালেহ প্রথম এ দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন। এরপর ২০১১ বিশ্বকাপে এ দশা হয়েছিল নাজমুল হোসেনের। ২০১৫ বিশ্বকাপে মাঝপথে ফিরে এসেছিলেন আল আমিন। তাঁর বদলি শফিউল ইসলামও খেলতে পারেননি। আল-আমিনকে অবশ্য নিয়ম ভঙ্গের কারণেই ফিরতে হয়েছিল।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..