কোম্পানীগঞ্জে বাড়ছে ডাকাতি-চাঁদাবাজি, আতঙ্কে উপজেলাবাসী

প্রকাশিত: ৮:৩৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০১৯

কোম্পানীগঞ্জে বাড়ছে ডাকাতি-চাঁদাবাজি, আতঙ্কে উপজেলাবাসী

Manual1 Ad Code

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে প্রায়ই ঘটছে ডাকাতির ঘটনা। গত সাত মাসে প্রায় দেড় শতাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও মামলা হয়েছে মাত্র একটি! আর সেই মামলারও নেই কোনো অগ্রগতি। তবুও পুলিশ বলছে ডাকাতদের ধরতে অভিযান চলছে। আর পুলিশের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন কোম্পানীগঞ্জের জনসাধারণ।

Manual4 Ad Code

জানা গেছে, উপজেলাজুড়ে দিনের বেলা চাঁদাবাজি আর সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয় ডাকাতির মহোৎসব। এতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত কাটে তাদের। চাদাবাজি ও ডাকাতির খবর পুলিশের কাছে পৌছালেও রহস্যজনক কারণে তারা নীরব ভুমিকা পালন করছে। ফলে উদ্বেগ বাড়ছেই।

Manual2 Ad Code

জানা যায়, গত ২৭ জুন কোম্পানীগঞ্জ থানা বাজারের বাসিন্দা সু-কুমার সিলেট থেকে মোটর সাইকেলে আসার পথে তেলিখাল এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়েন। এসময় তার ২টি দামি মোবাইল ফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং ডাকাতরা তাকে ব্যাপক মারধর করে।

Manual5 Ad Code

এরপরের দিন তেলিখাল গ্রামের রনি মিয়া বর্ণি এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়ে ডাকাতরা তার ৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এসময় তাকে মারধর কওে গুরুত্বও আহত করে। তার কিছু দিন আগে বুড়দেও গ্রামের পাখি মিয়া নামের এক জন ডাকাতের কবলে পড়েন। এসময় ডাকাতরা তাকে মারধর করে মারাত্মক ভাবে জখম করে।

Manual3 Ad Code

২৮ জুন লামলীগ্রাম এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়েন কাঠালবাড়ি গ্রামের পাথর ব্যবসায়ী সুক্কুর আলি। এসময় তার কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতরা নিয়ে যায়। এ ছাড়াও নতুন করে কোম্পানীগঞ্জ ছাতাক নদী পথে প্রতিদিন পাথর ও বালি বুঝাই নৌকা ডাকাতির কবলে পড়ছে।

সর্বশেষ গত রোববার রাতেও ভোলাগঞ্জ গ্রামের ফারুক আহমদের বাড়িতে ডাকাত হানা দেয়। এসময় ডাকাতরা বাসার মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও রসহস্যজনক কারণে কোন মামলা দায়ের হয়নি।

অন্যদিকে কোম্পানীগঞ্জ ছাতক নৌপথে ৭টি থেকে ৯টি স্থানে নামে বেনামে চাঁদা আদায় করছে। চাঁদার টাকা না দিতে পারলে চাদাবাজরা মাঝিদের মারধর করে বলে মাঝিদের অভিযোগ রয়েছে

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জে থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, গত ৪ মাসে কোম্পানীগঞ্জে কোন ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। আর চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি জানান, লীজ নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু মানুষ নদীতে টোল আদায় করে এর বাহিরে কেউ টাকা আদায় করেনা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন বান্যার্জি বলেন, চাদাবাজির ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ এসছে শীগ্রই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে । ডাকাতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..