যুবলীগ কর্মীকে নির্মম নির্যাতন, আটক ৫

প্রকাশিত: ২:৫৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০১৯

যুবলীগ কর্মীকে নির্মম নির্যাতন, আটক ৫

Manual2 Ad Code

নগরের আকবরশাহ থানাধীন বিশ্বকলোনী এলাকায় মো. মহসিন (২৬) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। রোববার (৩০ জুন) বিকেলে বিশ্বকলোনী এন ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার মহসিন বিশ্বকলোনী এম ব্লকের বাসিন্দা। তিনি উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার মোর্শেদ কচির অনুসারী বলে জানা গেছে।

গুরুতর আহত যুবলীগ কর্মী মহসিন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে আটক করেছে।

Manual2 Ad Code

আটক পাঁচজন হলো- মো. মাসুদ (১৮), মো. মিরাজ (১৭), মো. সাজু (২৪), মো. বেলাল (২০) ও মো. তারেক (১৮)।

Manual3 Ad Code

আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, বিশ্বকলোনী এন ব্লকে মহসিন নামে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করেছে।

তবে এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার থানায় এখনও কোনো মামলা দায়ের করেনি বলে জানান ওসি।

মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ হাতে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, দাঁড়িয়ে থাকা মহসিনকে অতর্কিত এসে মারধর শুরু করে ১২-১৫ জনের একটি দল। মহসিন তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে চারপাশ থেকে ঘিরে রড ও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে তারা। পরে মারা গেছে ভেবে মহসিনকে ফেলে রেখে যায়।

Manual8 Ad Code

মারধরের সময় এদের মধ্যে একজন মহসিনের পা ধরে রাখে। ওই যুবকের নাম চৌধুরী জুয়েল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। জুয়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে তুহিন, রাব্বী, পারভেজ, ফারহান ও খোকন নামে আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হামলায় জড়িতরা উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্থানীয় কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের অনুসারী বলে জানা গেছে।

উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার মোর্শেদ কচি বলেন, জহুরুল আলম জসিমের নির্দেশে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তার অনুসারীরা। মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করা হয়েছে মহসিনকে।

অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম বলেন, মহসিনের গ্রুপের লোকেরাই তাকে মারধর করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো কর্মী জড়িত নয়। আহত মহসিনকে সন্ত্রাসী বলেও দাবি করেন কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম।

Manual2 Ad Code

এর আগে শনিবার (২৯ জুন) সরওয়ার মোর্শেদ কচি গ্রুপের কর্মী মামুনকে মারধর করে কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের অনুসারী বেলাল উদ্দিন জুয়েল ও তার সঙ্গীরা। পরে মামুনের বন্ধুরা গিয়ে বেলাল উদ্দিন জুয়েলকে তার ঘরে ঢুকে মারধর করে। আহত বেলাল উদ্দিন জুয়েল ও মামুন দুইজনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..