নুসরাত হত্যা: দুই বান্ধবীর সাক্ষ্য আজ সোমবার

প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১, ২০১৯

নুসরাত হত্যা: দুই বান্ধবীর সাক্ষ্য আজ সোমবার

Manual7 Ad Code

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যায় দায়ের করা মামলার বাদী ও নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের জেরা শেষ করেছেন আসামিপক্ষের কৌঁসুলিরা।

গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে আসামিপক্ষের কৌঁসুলিরা বাদীকে দ্বিতীয় দিন জেরা শেষ করেন।

আদালত নুসরাতের দুই সহপাঠী নিশাত সুলতানা ও নাসরিন সুলতানা ফূর্তির সাক্ষগ্রহণের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন।

Manual8 Ad Code

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, আদালতে বাদীসহ তিনজনের স্বাক্ষ্যগ্রহণের জন্য কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে নুসরাত হত্যা মামলার ১৬ আসামিকে আদালতে আনা হয়। মামলার বাদী ও সাক্ষগ্রহণ শেষে আসামীপক্ষের কৌঁসুলিরা তাকে জেরা করেন।

আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে সরকারি কৌঁসুলী (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ ও বাদীর আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন, ২৭ জুন নুসরাত হত্যা মামলার বাদীসহ তিনজন সাক্ষীতলব করেন আদালত। ওইদিন মামলা বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান আদালতে সাক্ষ্যপ্রদান শেষে আসামিপক্ষের ৯ কৌঁসুলি তাকে জেরা করেন। পবর্তীতে ৩০ জুন বাকী ৭ কৌঁসুলির জেরা শেষে আদালত সোমবার ১ জুলাই পরবর্তীদিন ধার্য করেন। এই সময় আদালতের কাঠগড়ায় ১৬ আসামির সবাই উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৯ মে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে ৮০৮ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর গত ৩০ মে মামলার ধার্য তারিখে আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত শুনানি না করে ওই মামলাটি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঠানোর আদেশ দিয়ে ১০ জুন মামলার শুনানির দিন ধার্য করেন।

Manual1 Ad Code

পরে ১০ জুন আদালত চার্জশিট আমলে নিয়ে ২০ মে চার্জ গঠন করেন। ২৭ জুন বাদীসহ তিনজনের স্বাক্ষগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিন বাদী সাক্ষ্য প্রদান শেষে আইনজীবীরা জেরা করেন তাকে।

Manual1 Ad Code

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা (৫৭), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ কাউন্সিলর (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), হাফেজ আবদুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে চম্পা/শম্পা (১৯), আবদুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসার সাবেক সহসভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০) ও মোহাম্মদ শামীম (২০)।

এ মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।

Manual6 Ad Code

এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..