বালাগঞ্জে চিকিৎসার নামে যুবতীকে ধর্ষণ : ভণ্ড পীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত: ২:৫৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ১, ২০১৯

বালাগঞ্জে চিকিৎসার নামে যুবতীকে ধর্ষণ : ভণ্ড পীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ

Manual5 Ad Code

বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জের জনসাধারণ আবেগময় বিশ্বাস। সাধারন মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে নতুন এক মাত্রা হচ্ছে ধর্ম ব্যবসা। বিনা পুঁজিতে সবচেয়ে লাভজনক ধর্মব্যবসা হচ্ছে ‘পীরত্ব’।

বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই প্রমাণিত হয়েছে এরা ভন্ড। সকলের উপর দিয়ে এ ধরনের ভন্ডরা বিভিন্ন রকম ভাওতাবাজী দিয়ে সাধারণ নিরীহ মানুষকে ঠকিয়ে যাচ্ছে। দেশের অলিগলিতে ভন্ড পীরের অভাব নেই। মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ঐ সমস্ত পীর নামধারী ভন্ডরা মানুষকে নিঃস্ব করছে। যার ভুরি ভুরি প্রমাণ পত্র পত্রিকায় প্রায়ই ছাপা হচ্ছে বা ইউটিউবেও রয়েছে এর অনেক প্রমাণ এদের মধ্যে এক জনের সন্ধান পাওয়া যায়, বালাগঞ্জে থানার শেষ প্রান্তে জামালপুরের গহরপুরে মৃত মাওলানা ইউসুভ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম(৫০)।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কোরআন শরীফ মুখস্ত না করে নেমে যান বিনা পুঁজিতে সবচেয়ে লাভজনক ধর্ম ব্যবসায়। প্রথমে গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের টার্গেট করে তাহাদের বাড়ীতে গোয়েন্দা পাঠিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে দালালদের মাধ্যমে বাড়ীতে এনে মুরিদ বানিয়ে চলে রোগ বালাই করার কাজ। গ্রামবাসীর সাথে আলাপ করে জানা যায়,ভারতের আসাম থেকে যাদু টোনার বই আমদানী করে তাবিজ-খবজ দিয়ে ব্যবসা শুরু করে দেন তিনি। এতো টাকা তিনি আয় করে, যা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করবে না। অসহায় মানুষ বিপদে পড়ে তার কাছে আসলে তিনি সব দুর্বলতা খুলে বলতে বলেন ঐ দুর্বলতার সুযোগের পরিপূর্ণ সৎ ব্যবহার করে প্রতিদিন অসহায় মানুষকে সর্ব শান্ত করে দিচ্ছে। গ্রামের ভিতরে প্রকাশ্য আস্তানা সবারই জানা। এরা আসল পরিচয় গোপন রেখে সাচ্ছন্দে ব্যবসা করে যাচ্ছে। রোগী বেশী অসুস্থ্য হলে “পানি পড়া” দিয়ে ভন্ডপীরদের প্রতিটি দালাল মাস শেষে লাখ টাকা উপার্জন করে! এ সমস্ত দালালেরা সমাজে ছদ্মবেশে মুখোশের অন্তরালে লুকিয়ে আছে। এলাকায় তাদের অবস্থানও ভালো। প্রতিটি মানুষেরই কম বেশী সমস্যা থাকে। সমস্যার সমাধান দ্রুত কে না চায়? সমস্যায় পড়া মাত্র দালালেরা সুকৌশলে ফাঁদ পাতে। বলে সিরাজুল পীরের কাছে গেলেই সব বিপদমুক্তি হয়ে যাবে ইত্যাদি। ব্যাস, রুগী পীরের কাছে গেলেই উক্ত দালালের হাতে নির্ধারিত অর্থ চলে যায়। এ ধরনের দালালদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশী।

Manual2 Ad Code

গত ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের এক ২৪ বছরের যুবতীকে চিকিৎসার জন্য তার ছোট বোন ভন্ড পীর সিরাজুল ইসলামের কাছে গেলে সে বলে যে আমি সব কিছু আহসান করে দিব,এগুলা আমার কোন বেপারই না,তুমি কাল একা চলে আসো
অসুস্থ বড় বোনকে নিয়ে পরের দিন ভন্ডপীরের আস্তানায় গেলে, তাকে সরবত এর সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে তাকে খেতে দেয়।এক পর্যায় তাকে ভন্ডপীরের রুমে নিয়ে যায়,এবং তাকে ধর্ষন করে সেই সাথে মুঠোফোনে সেই ধর্ষনের ভিডিও করে।
কিছু দিন পরে তাকে এই ভিডিও দেখিয়ে, বলে যে আমি যা বলবো তা শুনতে হবে এবং তাকে দিয়ে বিভিন্ন স্টাম্পে সই করিয়ে ও ১০-১৫ চেক নেয়।সেই সাথে তাকে বলে আমাকে তুমার বিয়ে করতে হবে,যদি বিয়ে না করো তুমার দেওয়া সাইন করা চেক ও তুমার ছবি আমি ফেইসবুকে ছেড়ে দিব,এবং আমি যখন বলবো তখনই আমার কাছে আসবে।এর পরে তাকে দিয়ে ভিন্ন নামে পাসপোর্ট ও কোর্টে জোর পুর্বক বিয়ে দেখিয়ে তাকে বউ দাবি করে এবং সাথে সাথে সাথে সাথে ৪টি চেক ভাউন্স করে তার বাড়িতে নোটিশ পাঠায়,।পরে বর্নালীর বাবাকে বলে ১০ লক্ষ টাকা আমাকে দিলে আমি সব কিছু শেষ করে দিব।এই বলে বিভিন্ন সময় হুমকি দেয় এবং ভিন্ন নামে একাউন্ট খুলে সেই ছবি ফেইসবুকে ছেড়ে দেয়।এমতা অবস্থায় বালাগঞ্জ থানার ভার প্রাপ্ত অসি আতাউর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করে বর্নালী সরকার।
এ ঘটার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য,বালাগঞ্জ থানার অসি আতাউর বলেন,আমি এই অভিযোগটি পেয়েছি,এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..