অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাবিব ট্রেডার্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ ময়দা আছে- প্রতারক আব্দুল ওয়াহিদ (ওরফে ব্যাটারি মোল্লা) বিষয়টি জানার পর শরিফ মিয়াকে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করবেন। আমার কাছে ২০ হাজার টাকা দিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন না।’
তার কথামতো হাবিব ট্রেডার্সের মালিক সরল বিশ্বাসে প্রতারক ওয়াহিদকে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন। ওয়াহিদ প্রতারণার মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম ভাঙ্গিয়ে ওই টাকা নিজেই আত্মসাধ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর হাবিব ট্রেডার্সের মালিক শরিফ মিয়া আব্দুল ওয়াহিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর গত ১৪ মে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত প্রতারক আব্দুল ওয়াহিদকে পর পর ৩টি নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আব্দুল ওয়াহিদ নোটিশের কোনো জবাব দেননি।
জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক অফিসে যাওয়া-আসার খাতিরে বিভিন্ন লোকের সাথে পরিচয় হয় ওয়াহিদের। সেই সুবাদে জগন্নাথপুর থানা, উপজেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিসের বড় কর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে মানুষের কাছ থেকে তিনি হাতিয়ে নিচ্ছেন অনেক টাকা। বিভিন্ন সময় পত্রিকার সংবাদকর্মী বলে পরিচয় দেন তিনি। কিন্তু এখনো কোনো পত্রিকার পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘আব্দুল ওয়াহিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। আমরা তিনটি নোটিশ দিয়েছি। এখন পর্যন্ত তিনি অফিসে আসেননি।’
জগন্নাথপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, ‘হাবিব ট্রের্ডাসের মালিক শরিফ মিয়ার দেয়া আব্দুল ওয়াহিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’