সিলেট ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:০৯ পূর্বাহ্ণ, মে ২৮, ২০১৯
গত শুক্রবার রাতে কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী দনা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু-মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় বিএসএফের গুলিতে কয়েকজন গরু চোরা কারবারী চক্রের সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। চোরাকারাবীদের হামলায় বিজিবির সদস্যরাও আহত হন।
এ ঘটনায় বিজিবি সিলেটের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েকজন গরু-মহিষ চোরা কারবারীকে নজরবন্দী রাখার পর রায়হান উদ্দিন নামে এক জন কে গত রবিবার সিলেট থেকে আটকের পর কানাইঘাট থানায় স্থান্তর করে ১২ জন চোরাকারাবারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
বিজিবির জকিগঞ্জ ১৯ ব্যাটালিয়নের নায়েক সুবেদার মোঃ নাজমুল হক বাদী হয়ে সরকারী কাজে বাধা প্রদান আক্রমন পূর্বক আহত করার অপরাধে পেনেল কোডের ১৪৩/১৮৩/৩৩২/৩৫৩ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানার মামলা নং ১২৪/১১২ তাং-২৬/০৫/২০১৯ইং। মামলায় লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির সীমান্তবর্তী এরালীগুল গ্রামের আবুল কালামের পুত্র মোঃ রায়হান উদ্দিন কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জানা গেছে মামলায় একই ইউপির সীমান্তবর্তী রাতাছড়া গ্রামের গরু-মহিষ চোরাকারবারী চক্রের সদস্য আবুল কালাম, একই গ্রামের সাদ্দাম হোসেন, লোকমান হোসেন, আফতাব উদ্দিন, কাচারি পাড়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিন, পাতিছড়া গ্রামের সোহাগ উদ্দিন, মাদারপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিন, পানি ছড়া গ্রামের সাহাব উদ্দিন, রাতা ছড়া গ্রামের আবু মিয়া সহ ১২ জন কে আসামী করা হয়েছে। প্রসঙ্গত যে, কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি চোরাকারবারী চক্র ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন বিজিবির চোখ ফাকি বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে শত শত গরু-মহিষ কানাইঘাটে নিয়ে আসার পর গরু-মহিষের চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকে। বিজিবির অভিযোগ তারা ভারত থেকে অবৈধ পথে আনা গরু-মহিষ বিভিন্ন সময়ে আটক করেন। কিন্তু অনেক সময় চোরকারবারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের উপর পর্যন্ত হামলা করে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একদল চোরাকারবারী দনা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে গরু-মহিষের একটি বড় চালান নিয়ে আসার সময় ভারতের সীমান্ত প্রহরী বিএসএফের উপর চোরকারবারীরা হামলা করলে বিএসএফ গুলি ও সাউন্ড গেনেড নিক্ষেপ করলে ৭/৮ জন চোরকারবারী চক্রের সদস্য গুলিবিদ্ধ আহত হয়। চোরাকারবারীরা বিজিবির উপর হামলা করে বলে বিজিবি তাদের দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ভারত থেকে প্রতিদিন সীমান্ত এলাকা দিয়ে গরু-মহিষ আসার কারনে এলাকার গ্রামীন রাস্তা-ঘাট ও ফসলাদির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। কেউ চোরকারবারীদের বিরুদ্ধে কথা বললে তারা সংঘবদ্ধ হয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে স্থানীয়দের উপর হামলা চালায়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে চোরাকারবারীরা বিভিন্ন মোটা অংকের সপ্তাহিত চুক্তির ভিত্তিতে উৎকুচ দিয়ে তাদের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd