পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে প্রবাস থেকে ফিরে দেশে অবস্থান করছেন চাচা। অভিযুক্ত ব্যক্তি ও ভিকটিম একই বিল্ডিংয়ের পাশাপাশি রুমে বসবাস করতো। দীর্ঘদিন যাবত আদর করার অজুহাতে নানা কৌশলে ভাতিজিকে যৌন নিপীড়ন করতো চাচা। লোকলজ্জার ভয়ে ভিকটিম বিষয়টি কাউকে জানায় নি। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ও তার স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো।
এমতাবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে ভিকটিম তার নিজ রুমে পড়ালেখা করছিলো। তার বাবা কৃষি কাজে এবং মা ঘরের থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পুকুরের উদ্দেশ্যে বের হোন। এই সুযোগে চাচা ভিকটিমের রুমে প্রবেশ করে জোরপূর্বক বিছানায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এমন সময় ভিকটিমের হাল্লা-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন চলে এলে চাচা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করা হয়। এক পর্যায়ে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে গত সোমবার থানায় মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার এসআই নূর হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন কৌশলে যৌন নিপীড়ন করে আসছিলো। ধর্ষণ চেষ্টায় মামলার পরপরই আসামীকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কোর্টে প্রেরণ করা হবে।