নগরীর আলহারামাইন হাসপাতালে অপচিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০১৯

নগরীর আলহারামাইন হাসপাতালে অপচিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ

এবার সিলেট নগরীর আলহারামাইন হাসপাতালে অপচিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে সিজারের সময় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার দেবর জামাল আহমদ। এ ব্যাপরে চেষ্টা করেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মৃতের আত্মীয়স্বজন সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জের নগবীগঞ্জ উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামের প্রবাসী শামীম আহমদের স্ত্রী রাশেদা বেগমকে রবিবার বিকেলে সিলেটের আলহারামাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার ডেলিভারি সমস্যা ছিল।

ভর্তির পর ডাক্তাররা সোমবার সকালে সিজারের কথা বলেন। দুই ব্যাগ রক্তও প্রস্তুত রাখতে বলেছিলেন তারা। সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।

সিজারে তার একটি পুত্র সন্তান জন্মের সংবাদ দিয়ে ডাক্তাররা জানান, তার জরায়ুতে সমস্যা আছে। কাটতে হবে। তাহলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হতে পারে। ডাক্তারদের এমন মতামতের প্রেক্ষিতে রাশেদার অভিভাবকরা যা করা উচিৎ, তাই করার কথা বলে অপেক্ষায় থাকেন।

একসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরো ৬/৭ ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করতে বলেন। রাশেদার দেবর জামাল আহমদ জানান, তারা নিজেরাসহ হাসপাতালের স্টাফরাও রক্ত দিয়েছেন। কিন্তু তবু ভাবিকে বাঁচানো যায়নি। ডাক্তার জরায়ু কাটতে গিয়ে অতিরিক্ত কেটে ফেলাতেই এই মৃত্যু।

এ ব্যাপারে কোথাও কোন অভিযোগ করেছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না। আমরা কেবল সংবাদপত্র অফিস গুলোতে জানাচ্ছি। ওদের সাথে লড়াই করার মতো অবস্থা আমাদের নেই।

এ ব্যাপারে জানতে আলহারামাইন হাসপাতালে ফোন করলে সংশ্লিষ্টরা এ কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। তারা কেবল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে বলেন।

হাসপাতালটির পরিচালক বা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কারো মোবাইল বা টেলিফোন নম্বর দিতেও তারা অপারগতা প্রকাশ করেন। বলেন, এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে। কথা বলতে হলে হাসপাতালে গিয়েই বলতে হবে।

এদিকে রাশেদার দেবর জামাল আরো জানানা, তারা বারবার প্রশ্ন করলেও তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাতে পারেন নি সংশ্লিষ্টরা। তারা সোমবার আড়াইটার দিকে ‘রাশেদাকে বাঁচানো যায়নি’ বলে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলেই দায়িত্ব আদায় করেছেন। মেডিসিন খরচ বাবদ নগদ ১৯ হাজার টাকাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আদায় করেছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..