সিলেটে সরকারি অফিসে মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র

প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০১৯

সিলেটে সরকারি অফিসে মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে সিলেটের সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিসেই মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ঝুলে থাকতে দেখা গেছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে সিলেট বিভাগীয় অফিসের ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনের প্রতিটি তলার দেয়ালগুলোতে ঝুলে আছে মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো। যা ইতোমধ্যে কার্যকারিতা হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিভাগীয় অফিসের ওই ভবনটিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কার্যালয় রয়েছে।
প্রতিটি বহুতল ভবনেই অগ্নিনির্বাপণের নিজস্ব ব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না সরকারি এই গুরুত্বপূর্ণ ভবনটিতেই।

এই অফিসের আগুন নেভানোর যন্ত্রগুলির মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। ফলে যে কোন সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে তা তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে আনার সক্ষমতা হারিয়েছে এই যন্ত্রগুলো।

বিভাগীয় অফিসের ওই ভবনে রয়েছে স্থানীয় সরকার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর, জোনাল সেটেলমেন্ট দপ্তর, উপ-ভূমি কমিশন দপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, সেটেলমেন্ট অফিস, আনসার ও ভিডিপি সিলেট রেঞ্জসহ সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অফিস।

সরেজমিনে দেখা যায়, ৬ তলার প্রতি তলার দেয়ালে ঝুলছে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। তবে এসব অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রগুলির কোনটিও মেয়াদ নেই। ২০০৭ সালে ফুরিয়েছে সবক’টির মেয়াদ। ১২ বছর আগেই মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে যন্ত্রগুলির। কোন কোন অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রের গায়ে মেয়াদ ফুরনোর স্টিকারও অস্পষ্ট।

এগুলো তদারকি বা পরিবর্তন তো দূরের কথা মেয়াদ ফুরানোর বিষয়টি জানেনই না ভবনটির বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা। তবে এব্যাপারে ভবনের বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাদের কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

ওই ভবনে পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা রনি আহমদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘এখানে মানুষ জরুরি কাজে আসেন। সেই সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংরক্ষিত আছে। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও বসেন এখানে। হঠাৎ আগুন লাগলে যে জিনিস দিয়ে আগুন নেভানোর কথা সেই যন্ত্রের মেয়াদ নেই। গুরুত্বপূর্ণ অফিসে এমন উদাসীনতা একেবারেই কাম্য নয়।’

দক্ষিণ সুরমার ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় প্রধান তন্ময় বিশ্বাস জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠান বা অফিসে মূলত চার রকমের সিলিন্ডারে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকে। একটি হল- ফোম। এগুলি ব্যবহারের সময়সীমা থাকে এক বছর। তার পরে পুরনো ফোম বের করে দিয়ে নতুন ফোম ভর্তি করতে হয়। দ্বিতীয়টি হল- এবিসি। এটি এক রকমের পাউডার। যা তিন বছর অন্তর অন্তর বদলে নতুন পাউডার ভরে ফেলতে হয়। তৃতীয়টি হল- ডিসিপি। এটি অনেকটা এবিসির মতোই। এই যন্ত্রেও পাউডার থাকে। বদলাতে হয় তিন বছর অন্তর। আর চতুর্থ ব্যবস্থাটি হল- কার্বন-ডাই-অক্সাইড। এগুলিতে পাঁচ বছর অন্তর গ্যাস পাল্টাতে হয়। যদি এগুলি নিয়মমাফিক না পাল্টানো হয়, তা হলে আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে তা কাজ করবে না।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..