সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাটেরচটি গ্রামের দেওচাপড়া, কাপনাকান্দি, ঘাটেরচটি মৌজার হাওরে বোরো ধান চাষের জন্য পাহাড়ের চুড়া থেকে বয়ে আসা ফুয়াদ মোরী ছড়ায় বাঁধ দিয়ে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জমিতে পানির ব্যবস্থা করা হালি-চারা রোপন করার প্রস্তুতি নেয় কৃষক পরিবারগুলো। অতি সম্প্রতি স্থানিয় কিছু মাটি ব্যবসায়ী বাঁধটি রাতের আঁধারে কেটে দেয়ায় ছড়ার পানি শুকিয়ে গেছে যার কারণে প্রায় ৪শ’ একর জমিতে পানি সেচ দেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত ০৬ ফেব্রæয়ারি বুধবার গভীর রাতে এ বাঁধটি কেটে দেয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় কৃষকেরা।
কৃষকরা জানান, আমাদের জমিতে বোরো ধান চাষ খুব ভালো হয়েছিলো কিন্তু ফুয়াদ মোরী ছড়ার বাঁধ কাটার পর থেকে আমরা সঠিক সময়ে পানি না পাওয়ায় ভালো ফলনের আশা করতে পারচ্ছি না। দ্রুত ফুয়াদ মোরী ছড়ার বাঁধটি ভরাট করা না হলে ৪শ’ একর জমি পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে ফসল নিয়ে বাড়ীতে উঠার ব্যাপারে উদ্বেগে আছেন ৫ টি গ্রামের কৃষক।
ঘাটেরচটি এলাকার কৃষক রইছ আলী বলেন, কয়েক হাজার কৃষকের দুর্ভোগ ও ফসল হানির কথা চিন্তা না করে কয়েক জন দুষ্কৃতিকারী মাটি ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসার কথা চিন্তা করে সরকারি খাস জমি সহ কৃষি জমি খনন করে রাতের আঁধারে মাটি নেয়ার জন্য ফুয়াদ মোরী ছড়ার বাঁধটি বুধবার রাতে কেটে দিয়েছে। এ বাঁধটি কেটে দেয়ায় বুধবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ২০একর জমির বোরো ধানের চাষ নষ্ট হয়ে যায়।
স্থানীয় উপকারভোগী কৃষকদের দাবি, বোরো ধান আবাদের জন্য ছড়ায় বাঁধ নির্মণ করে জমিতে পানি ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি। এই বাঁধটি দ্রুত ভরাট করা না হলে জমিতে বোরো ধান আবাদের জন্য পানি দেয়া সম্ভব হবে না।এখানে ৩টি হাওরের (দেওচাপড়া, কাপনাকান্দি, ঘাটেরচটি) প্রায় ৪শ’ একর বোরো ফসলি জমিতে ধান চাষ করার প্রস্তুতি নিয়েছে কৃষক পরিবার। এ ছাড়া মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষি জমি সহ খাস গোচর জমি খনন করে মাটি বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে।
উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের কৃষক আফতাব আলী বলেন, দেওচাপড়া, কাপনাকান্দি, ঘাটেরচটি এলাকার হাওরের জমিতে পানি না থাকায় মাটি ফাটল দেখা দিয়েছে এবং চারাগুলো হলুদ রং রুপ নিয়েছে। কিন্তু মাটি ব্যবসায়ীদের নামে কিছু দুষ্কৃতিকারী তাদের নিজেদের কথা চিন্তা করেই রাতের আঁধারে বাঁধটি কেটে দেয়। এখন অসহায় গরীব বোরো চাষীদের পরিবার গুলো জমির পাশে বসেই চোখের পানি ফেলছেন আমাদের পাশে কেউ দাড়াচ্ছেনা ওদের বয়ে।
এদিকে অপকর্মের সঙ্গে জড়িত মাটি ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন বলেন, চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাটেরচটি এলাকায় ছড়ার বাঁধ কেটে দেওয়ার ঘটনাটি সত্য। আমরা বাঁধটি ভরাটের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। দ্রæত বাঁধ ভরাটের কাজ শুরু করা হবে। এখানকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রনুদনা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার তালিকা তৈরী করা হবে। দুষ্কৃতিকারীদের আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রতিবেদককে অবহিত করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd