অভিযান পরিচালনায় ছিলেন- সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সন্দ্বীপ কুমার সিংহ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশরাফুল আলম।
এছাড়া এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টার ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. নাসিম আহমদ, ড্রাগ সুপার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর স্নিগ্ধেন্দু সরকার, ক্রিসেন্ট মেডিকেল সার্ভিসের চেয়ারম্যান জাকির আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
রোববার রিকাবীবাজার এলাকার দি মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেন্সি সেন্টার, লামাবাজার মদন মোহন কলেজ সংলগ্ন সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মিরের ময়দান এলাকার শাহজালাল মেডিকেল সার্ভিসেস-এ অভিযান চালানো হয়।
এদের মধ্যে সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক্স-রে কক্ষ থেকে বাতাস নির্গমন, প্যাথলজি ল্যাবে ডাক্তার না থাকায় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এছাড়া লাইসেন্সসহ যাবতীয় কাগজপত্র নবায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
দি মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেন্সি সেন্টারে প্যাথলজি ল্যাবে ডাক্তার না থাকা, সাইনবোর্ডে থাকা ডাক্তারের ডিগ্রী সঠিক না থাকার কারণে সতর্ক করা হয়। এখানেও লাইসেন্সসহ যাবতীয় কাগজপত্র নবায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
আর শাহজালাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সবকিছু ঠিক থাকলেও মূল্যতালিকা টাঙানো ছিল না। এখানে সঠিক মূল্যতালিকা টানানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
এই ত্রুটিগুলো দ্রুত সংস্কার না করলে প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করা হবে অথবা লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়সহ অভিযান পরিচালনাকারী অন্যরা।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার সিলেটের আরো চারটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠিত মনিটরিং টিম।