সিলেটে ৫ পুলিশ সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মে ২০, ২০১৮

সিলেটে ৫ পুলিশ সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Manual7 Ad Code

ক্রাইম ডেস্ক :: সিলেটে পুলিশের বিরুদ্ধে এক প্রবাসী পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। আসামি খোঁজার নামে পুলিশ প্রবাসীর বাড়িতে প্রবেশ করে ভাংচুর, পরিবারের সদস্যদের মারধর, নারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও মোটা টাকা চাঁদা দাবি করেছে।

এ বিষয় থানার বড় কর্তার কাছে নালিশ করেও কোনো কাজ হয়নি। বরং পুলিশ ওই পরিবারের সদস্যদের নামে দুটি মিথ্যা মামলা করেছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে উপায় না দেখে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ওসমানী নগর থানার ৫ পুলিশসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

Manual3 Ad Code

গত ৭ মে ওসমানী নগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের খাগদিওর সাতহালিপাড়া গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী গুলবাহার বিবি (৭৪) বাদী হয়ে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। মামলার পর বিচারক ২৭ মে সাক্ষীদের আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সহিদ উল্লা, এসআই চাঁন মিয়া, ফরিদ আহমদ, কনস্টেবল ইমদাদুল হক ও তোফাজ্জল হোসেন এবং পুলিশের সহযোগী হিসেবে মোগলাবাজার থানার নোয়াগাঁও গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে সায়েক মিয়া ও গোলাফ নূরের ছেলে শাহাব উদ্দিন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে- যুক্তরাজ্যের কারবি বরা কাউন্সিলের সাবেক মেয়র বর্তমান ডেপুটি মেয়র এবং ক্রাইম অ্যান্ড ডিজর্ডার কমিটির মেম্বার মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাজ্য থেকে জানুয়ারিতে দেশে আসেন। ২৯ মার্চ রাত ২টার দিকে ওসমানী নগর থানার একদল পুলিশ দেয়াল টপকে বাদীর বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে।

Manual8 Ad Code

বাড়িতে কথিত আসামি আত্মগোপনে থাকার অজুহাতে এসআই চাঁন মিয়া, এসআই ফরিদ আহমদ ও পুলিশের সহযোগী শাহাব উদ্দিন কুড়াল-শাবল দিয়ে বাড়ির কয়েকটি রুমের দরজা ভেঙে ফেলেন। এ সময় তারা বাদীর ঘরে থাকা লোকজনকে মারধর ও গালাগালও করেন। পুলিশের সহযোগী সায়েক মিয়া ঘরে থাকা এক মহিলাকে টেনে-হিঁছড়ে বের করেন।

Manual1 Ad Code

এ সময় তার পরনের কাপড় ছিঁড়ে যায়। ওসির কাছে পুলিশের এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার চাইলে তিনি রহস্যজনক ভূমিকা পালন করে উল্টো বাদীর স্বজনদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে ওসি গুলবাহার বিবির স্বজন ও নিকটজনদের নামে ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক দুটি মামলা করেন।

Manual6 Ad Code

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপায় না দেখে গুলবাহার বিবি আদালতে মামলা করেন। জানতে চাইলে ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদ উল্লা বলেন, নিয়মিত মামলার আসামি ধরতে গেলে তারা পুলিশের কাজে বাধা দেয়। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি জানান, পুলিশের কাছে তথ্য থাকলে নিয়মিত মামলার আসামি ধরতে যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে তল্লাশি করতে পারে। সেজন্য কারও অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হয় না।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

May 2018
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..