তামাবিল পোর্টের সংরক্ষিত প্রাচীর ভেঙ্গে অবৈধ ভাবে পাথর পরিবহন

প্রকাশিত: ৫:৫২ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৮

তামাবিল পোর্টের সংরক্ষিত প্রাচীর ভেঙ্গে অবৈধ ভাবে পাথর পরিবহন

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: তামাবিল স্থল বন্দরের সংরক্ষিত প্রাচীর ভেঙ্গে অবৈধ রাস্তা নির্মাণ এবং মালামাল পরিবহনের ফলে বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ী ও সচেতন মহলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত অবৈধ রাস্তা বন্দের দাবী।

সিলেটের সর্ববৃহত আমদানী রপ্তানির বানিজিক পোর্ট ছিল তামাবিল। পোর্টের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার পোর্টকে আধুনিকায়ন করে আর্ন্তজাতিক স্থল বন্দরে রুপান্তর করে। শতকোটি টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন সহ অত্যধুনিক সুযোগ সুবিধা এবং নিরাপদ স্থল বন্দর স্বার্থ রক্ষায় চর্তপার্শ্বে স্থায়ী প্রাচীর নির্মাণ করে বন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারন ব্যবসায়িদের দাবী একটি প্রভাবশালী চক্র অতি সম্প্রতি স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজেসে অবৈধ ভাবে দেওয়াল ভেঙ্গে পাথর পরিবহন ও ড্রাম্পিং করছে। যাহার কারনে বন্দরটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন দূর্বল হয়ে পড়ে, তেমনি অবৈধ পথে নিয়ে আসা মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। সরকার হারাবে রাজস্ব, আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিনত হবে চক্রের সদস্যরা। আর্নজাতিক মান বিবেচনায় স্থল বন্দনেরর অবকাঠামো পরিবর্তন করতে হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় কিংবা দপ্তরের অনুমতির প্রয়োজন। এছাড়া বন্দর এরিয়া বর্ধিত কিংবা সংযোজন করা হলে নতুন এরিয়া চিহ্নিত এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে সীমানা প্রচীর ভেঙ্গে ফেলা হয়। কিন্তু এখানে কর্তৃপক্ষ তা না করেই অবৈধ ভাবে প্রাচীর ভেঙ্গে রাস্তা নির্মাণ সহযোগিতা করে আসছে। সরেজমিনে দেখা যায় সংরক্ষিত এরিয়া দক্ষিণ-পূর্বদিকে অপরিকল্পিত ভাবে প্রভাবশালীরা বন্দরের দেওয়াল ভেঙ্গে মালামাল পরিবহন ও ড্রাম্পিং করছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানায় এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে নবনির্মিত স্থল বন্দরের উদ্বোধনের ১বৎসর পূর্ণ হওয়ার আগে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আতাত করে বন্দরের নিরাপত্তা দূর্বল করে রাস্তাটি তৈরী করা হয়েছে। সাধারণ ব্যবসায়ী এবং এলাকার সচেতন মহল মনে করেন চোরাকারবারিরা এই অবৈধ রাস্তা দিয়ে পন্যবাহী পরিবহন ব্যবহার করে নিরাপদে ভারত হতে মাদক, মাদকজাত পন্য, ভারতীয় শাড়ী সহ অন্যান্য মালামাল নিরাপদে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সম্বাবনা রয়েছে। ইতোপূর্বে এভাবে ট্রাকযোগে মালমাল পরিবহনের সময় থানা ট্রাক সহ পুলিশ ভারতীয় মালামাল আটক করে। স্থলবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তার অবকাঠামোগত উন্নয়ন না করে অবৈধ ভাবে নির্মিত রাস্তা বন্দ করার দাবী জানান সাধারন ব্যবসায়ীরা।

এবিষয়ে তামাবিল স্থল বন্দরের সিকিউরিটি ইনচার্জ জয় কুমার প্রতিবেদককে জানান- অপরিকল্পিত ভাবে প্রাচীর ভেঙ্গে গেইট নির্মাণ না করে উন্মুক্ত রাস্তা তৈরীর ফলে দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হয়। বৃষ্টিপাতের অঞ্চল হিসাবে খ্যাত মেঘালয়ের পাদদেশে স্থলবন্দরটির অবস্থান হওয়ায় অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের ভয়ে অরক্ষিত অবস্থায় রাতের বেলা সিকিরিটির ব্যবস্থা নিয়ে আমাদেরকে আশংঙ্কায় থাকতে হয়। তাই বন্দরের নিরাপত্তার বিষয়টিও এখন প্রশ্ন বিদ্ধ।

এবিষয়ে জানতে চাইলে স্থলবন্দরের ইনচার্জ পার্থকরের সাথে আলাপকালে তিনি জানান- ব্যবসায়ীরা আমাদের উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে মৌখিক অনুমতি নিয়ে প্রাচীর ভেঙ্গে মালামাল পরিবহন ও ড্রাম্পিং করা হয়েছে। তাতে স্থলবন্দরের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

May 2018
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..