ওসমানীনগরে মা-ছেলে হত্যা : রিয়াজ নেত্রকোনায় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৮:৩১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০১৮

ওসমানীনগরে মা-ছেলে হত্যা : রিয়াজ নেত্রকোনায় গ্রেপ্তার

Manual5 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় মা-ছেলেকে হত্যার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ রিয়াজকে (২০) নেত্রকোনা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (০৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার রিয়াজকে সিলেটে নিয়ে আসা হচ্ছে। গ্রেপ্তার রিয়াজ ময়মনসিংহের কালিজুরির গৌরিপুরের আবুল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি ওসমানীনগরের গদিয়ারচরে বসবাস করছেন।

এরআগে গত সোমবার এ মামলার ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করলে মঙ্গলবার তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে তারা স্বীকার করে ৪ জন মিলে মা-ছেলেকে খুন করে।

Manual2 Ad Code

তারা হলো- ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুরের জবেদ আলীর ছেলে জকরুল মিয়া (২২), বদিয়ারচরের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৭) ও মৃত আবুল কালামের ছেলে জয়নাল মিয়া (২৯)।

Manual3 Ad Code

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ওসমানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মাঈনউদ্দিন বলেন, আদালতে ৩ জনের স্বীকারোক্তি থেকে মূল পরিকল্পনাকারীর নাম বেরিয়ে আসে। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ কেন্দুয়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

Manual7 Ad Code

প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ রাতে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার থেকে ৪ দুর্বৃত্ত হবিগঞ্জের মাধবপুরের মালাকারপাড়ার মৃত অমিত মালাকারের স্ত্রী দীপু মালাকার (৪০) ও তার ছেলে বিকাশ মালাকারকে (৮) অপহরণ করে। পরে অটোরিকশা যোগে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় একারাই হাওরে। রাতভর হাওরে দীপু মালাকারকে ধর্ষণ করে। এ সময় ছেলে অমিত মালাকার দেখে ফেললে তাকে গলাটিপে হত্যা করে। ধর্ষণ শেষে দীপু মালাকারকেও হত্যা করে কচুরীপানা দিয়ে চাপা দিয়ে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।

Manual5 Ad Code

পরদিন লাশ দ্রুত পচে যাওয়ার জন্য লবণ পানি ছিটিয়ে দেয় লাশের গায়ে। এর কয়েকদিন পর লাশ পচে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা পুলিশকে জানান। পুলিশ অজ্ঞাত লাশ হিসেবে উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। পরে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত হয়।

এ ঘটনায় ২৬ মার্চ ওসমানীনগর থানায় মামলা হয়। মামলার তদন্তভার পড়ে ওসি (তদন্ত) মাঈনউদ্দিনের উপর। ক্লু-লেস এ মামলার রহস্য উদঘাটনে সোর্স নিয়োগ করেন তিনি। বিশ্বস্থ সোর্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার রাত ৩টার দিকে ওসমানীনগরের বদিয়ারচর থেকে অপহরণ, ধর্ষণ ও জোড়া খুনে জড়িত ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। প্রথমে তারা বিষয়টি অস্বীকার করলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপহরণ, ধর্ষণ ও জোড়া খুনে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।

মঙ্গলবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ঘটনার বিবরণ দেয়। এ সময় কার কী অবস্থান ছিলো, কিভাবে হত্যাকান্ড সংগঠিত করে তার বর্ণনা দেয়। বিকেলে ঘাতকরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে তাদের সন্ধ্যায় আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালতের বিচারক ঘাতকদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..