সিলেট ৬ই মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ২১শে রজব, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ১:০৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৮
Sharing is caring!
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ‘গণমাধ্যম, সাধারণ মানুষের মুখ বন্ধ রেখে দূর্নীতিবাজ মাদক সিন্ডিকেটদের স্বার্থ রক্ষার্থে জারিকৃত ৩২ ধারা একটি কালো আইন।এই আইনের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ ও মাদক সিন্ডিকেটদের রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে সংসদ। কোনভাবেই কালো ৩২ ধারা বাংলাদেশে চলতে পারে না। দেশের সব প্রান্ত থেকে এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে এখনই।’
গণজাগরণমঞ্জের সংগঠক জীবনানন্দ জয়ন্তের সঞ্চলনায় শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণজাগরণমঞ্চের আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় গণজাগরণমঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, ধারাগুলো ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি। সেগুলোতে কতটুকু মানুষের স্বার্থ আছে কতটুকু কালোবাজদের স্বার্থ রয়েছে। তার আগে সরকার ৫৭ ধারা সম্পর্কে বলেছে এটি ভালো কিন্তু বাতিলের পরে বলেছে এটি খারাপ। হয়তো এই ৩২ ধারা বাতিল হলেও সরকার একই কথা বলবে। সরকার ৫৭ ধারা বাতিলের সময় বলেছে আমরা খুব শিগ্রই সংশোধন করে জনগণের সুরক্ষার জন্যে আরেকটি ধারা দিবো সেটি কি সরকারের এই ভালো আইন ৩২ ধরা?
নিজেকে আইন ছাত্র দাবি না করেই তিনি বলেন অন্তত এটুকু বুঝতে পেরেছি এর চেয়ে আর খারাপ ও কালো ধারা বাংলাদেশে আর কিছু হতে পারে না। এ ধারা বাংলাদেশকে মধ্যযুগে নিয়ে যাবে। আমার মনে হয় এর চেয়ে কঠিন ও দু:সময় বাংলাদেশে আর আসেনি।
বাংলাদেশে রাজন, মিতু কিংবা পাহাড়ের দুগর্ম হত্যাকাণ্ডের খবর আমরা মোবাইলে ফেসবুকে পেয়েছি। অথচ আজ সেই মোবাইলে অন্যায় অবিচার ও মাদক সিন্ডিকেটদের তথ্য রেকড কররে আপনার ১৪ বছরের জেল হয়ে যাবে। আপনি হয়ে যাবেন গুপ্তচর। আর এই মাদক সিন্ডিকেটদের রক্ষার দায়িত্ব কি সংসদের? মন্ত্রীদের? এই আইনটা করা হয়েছে গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করার জন্যে।
আমাদের এই আইনের বিরুদ্ধে প্রত্যেকেরই আজ থেকে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমার মতে যারা আজ নিজেদের স্বার্থে এই আইন করেছেন যদি এই আইন থেকে সরে না আসেন তাহলে একদিন তারাই এই আইন ধারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই কোনভাবেই এই আইন বাংলাদেশে চলতে পারে না।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, উদিচি শিল্পগোষ্টির সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তফন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল) এর সভাপতি হজাহান আলী সাজু , সাবেক ছাত্রনেতা আকরামুর হকসহ প্রমুখ।
………………………..
Design and developed by best-bd