জুড়ীতে অনৈতিক কাজে বাধা : সংর্ঘষে মুক্তিযোদ্ধা নিহত ১, আহত ৩০

প্রকাশিত: ৮:২৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮


Manual7 Ad Code

জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের জুড়ীতে অনৈতিক কাজে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষে একজন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন। উভয় পক্ষ ও পথচারীসহ অন্তত ৩০জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের জামকান্দি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামকান্দি গ্রামের জনৈক জমির মিয়া গত সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দা সোনারূপা চা বাগানের শ্রমিক হরিলালের সাথে দেখা করতে তার বাড়ীতে যান। এ সময় হরিলাল বাড়ীতে না থাকায় তার স্ত্রীর সাথে বাগান শ্রমিক স্বপনের ছেলে সঞ্জুকে অনৈতিক কাজে দেখতে পেয়ে বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সঞ্জুর হাতে থাকা লাইট দিয়ে জমিরের উপর হামলা করলে তার মাথা ফেটে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জুড়ীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। জমির সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মঙ্গলবার সঞ্জু নিজেই নিজের ঘর ভেঙ্গে জমিরের উপর দোষ চাপায়।

Manual1 Ad Code

এ ঘটনায় জমিরের দুই আত্মীয় বুধবার সকালে সোনারতন নামক এক শ্রমিকের উপর হামলা করলে বাগানে পাগলা ঘন্টি বাজিয়ে ৪/৫শ শ্রমিক দা, চিয়াড়ীসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্থানীয় মুসলমানদের উপর হামলা চালায় এবং পশ্চিম জামকান্দি জামে মসজিদে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।

Manual7 Ad Code

এদিকে মসজিদে হামলার ঘটনা মাইকে ঘোষণা দিয়ে মুসল্লীরাও জড়ো হতে থাকেন। খবর পেয়ে জুড়ী থানার পুলিশ এবং অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে কুলাউড়া সার্কেলের এএসপি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

Manual8 Ad Code

শ্রমিকদের হামলায় মুক্তিযোদ্ধা ইয়াছিন মিয়া (৬৫), তার পুত্র শাহিন (৩৫), লিমন (১৮), হেলাল মিয়া (৪০), কাশেম মিয়া (৪০) ও আব্দুল আলী (৪০) আহত হন।

এছাড়া হামলায় শ্রমিকদের ছুড়া চিয়াড়ীর ভয়ে জামকান্দি-দক্ষিণভাগ সড়কের পথচারী ও যাত্রীরা প্রাণরক্ষার্থে দৌড়াদৌড়ি শুরু করলে হুচট খেয়ে পড়ে গিয়ে আরও ১৫/২০ জন আহত হন।

আহতরা দক্ষিণভাগ, জুড়ী, কুলাউড়া ও সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ও ভর্তি করা হয়। গুরুত্বর আহতাবস্থায় ইয়াছিন আলী, শাহিন ও লিমনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে তিনটায় মুক্তিযোদ্ধা ইয়াছিন মিয়া মারা যান এবং শাহিনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক বলে জানা যায়।

জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, ভাইস চেয়ারম্যান, এএসপি (কুলাউড়া সার্কেল) সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এলাকায় অবস্থান করে উভয়পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন।

Manual5 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..