সিলেট ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে পৌনে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের এক বৈঠকে মামলাগুলো দায়ের করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
যাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে তারা হলেন, কক্সবাজারের সাবেক জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. এফতেখারুল আলম। সাবেক সুপার আব্দুস ছবুর, বর্তমানে তিনি রামু উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে কর্মরত, সাবেক অডিটর নাছির উদ্দিন মো. আবু সুফিয়ান, বর্তমানে তিনি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে এবং অডিটর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত)।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদক কার্যালয়ে এমন অভিযোগ আসলে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন ওইসব অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করেন।
দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে জালিয়াতির তথ্য প্রমাণ পেয়ে সম্প্রতি অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেন। কমিশন যাচাই বাছাই শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথক আটটি মামলার অনুমোদন দেয়। যে কোন মুহুর্তে দুদকের কর্মকর্তারাব বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলাগুলো দায়ের করবেন বলে দুদকের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য কালের কণ্ঠকে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানায়, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে জেলায় ৮টি খাতে ভূয়া বিল তৈরি করে দুই কোটি ৭১ লাখ ৬৭ হাজার ৭২১ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন, যা দুদকের অনুসন্ধানে তথ্য উপাত্ত উঠে আসে।
অনুসন্ধানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পৌরকর খাতে ভুয়া বিল তৈরি করে ৬০ লাখ টাকা, নার্সিং ইনস্টিটিউটের পৌরকর খাতে ভুয়া বিল তৈরি করে পাঁচ লাখ টাকা, সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের নামে ভুয়া বেতন পরিশোধ দেখিয়ে এক কোটি ৪১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭০ টাকা এবং সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের নামে ভুয়া বিনোদন ভাতা পরিশোধ দেখিয়ে সাত লাখ এক হাজার ৫৪৫ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়।
অভিযোগে আরো বলা হয়, এছাড়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্রীদের বৃত্তি ভাতা খাতে পরিশোধ দেখিয়ে ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৯ টাকা, সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের নামে ভূয়া উৎসব ভাতা পরিশোধ দেখিয়ে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ১৭ টাকা, নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্মচারীদের উৎসব ভাতা পরিশোধ দেখিয়ে এক লাখ আট হাজার ৪৫ টাকা এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ দেখিয়ে ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৪ টাকা আত্মসাত করা হয় বলে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd