সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:০২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২১
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ধাওয়ায় পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে বাংলাদেশের সীমানার ভেতরের এক পাহাড়ের পাদদেশের ডোবায় ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করেন।
নিহত ওই যুবকের নাম সোহেল মিয়া (২৮)। তিনি জৈন্তাপুর সদর ইউনিয়নের আদর্শগ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে। গত বুধবার বিকেলের দিকে ভারতের রংহংকং নামের স্থানে পাহাড়ের একটি গর্তে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন সোহেল। এরপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগির আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর ১২টার দিকে পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে নিখোঁজের লাশ পাওয়ার খবর পায় পুলিশ। এরপর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান বলেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে সোহেলের বাবা তাঁকে ঘটনাটি জানান। এরপর তিনি বিষয়টি পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) শ্রীপুর ক্যাম্পকে অবহিত করেন।
সীমান্তের এপারে বাংলাদেশ থেকে ঘটনা দেখেছেন, এমন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সোহেলের পরিবারের এক সদস্য বলেন, মঙ্গলবার গরু হারালে সোহেল বুধবার সকালে সীমান্ত এলাকায় গরুর সন্ধান করতে যান। একপর্যায়ে তিনি ভারতে ঢুকে পড়েন। সেখানে সুপারিজুমে গরু খুঁজে না পেয়ে সোহেল বাংলাদেশে ঢোকার সময় ভারতের রংহংকং এলাকার বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া দেন।
সোহেল এ সময় পাহাড় থেকে ঝাঁপ দিয়ে একটি ডোবায় পড়েন। ডোবায় ঝাঁপ দেওয়ার পর বিএসএফ সদস্যরা পাথর নিক্ষেপ করলে তিনি পানিতে ডুবে যান। সোহেল সাঁতার জানতেন না বলে জানা গেছে। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
লাশ উদ্ধার প্রত্যক্ষ করা নিহতের একজন প্রতিবেশী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, সীমান্তের ওপারে অবৈধভাবে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে কিছু বলতে চাইছেন না। তিনি দেখেছেন, সোহেলের মুখে ও শরীরে পাথরের জখম রয়েছে। ওই জখম থেকে রক্ত বের হওয়ার চিহ্নও রয়েছে বলে জানান তিনি।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd