সিলেট ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : খুলনায় কর্মসূচির শেষ দিন বৃহস্পতিবার শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার চার পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
গত দুদিনের মতো আজও রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। তারা দৌলতপুরের নতুন সড়ক মোড়ে অবস্থান নেয়। সকাল ৯ টার দিকে শ্রমিকরা নতুন সড়ক মোড়ে পুলিশ বক্সে হামলা চালায়। পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য ধাওয়া দিলে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কেএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, এক পুলিশ সদস্য বিজিবি হেডকোয়ার্টের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় শ্রমিকরা তাকে বাধা দেয় এবং তার ওপর হামলা চালায় শ্রমিকরা। পরে শ্রমিকরা মাইকে সবাইকে একত্রিত করে বক্সে হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েকটি যানবাহনও ভাঙচুর করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) সরদার রকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আহত পুলিশদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলে শুরু হওয়া টানা ৭২ ঘণ্টার শ্রমিক ধর্মঘট বৃহস্পতিবারও চলছে। সেই সঙ্গে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনা-যশোর মহাসড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন পাটকল শ্রমিকরা।
তারা নতুন সড়ক মোড়ে অবস্থান নিয়ে খুলনা-যশোর মহাসড়ক, নতুন সড়ক মোড় থেকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড সড়ক, বিআইডিসি সড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন। এতে বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন ও রেল যোগাযোগ।
খালিশপুরের ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর (সাবেক পিপলস), দৌলতপুর, দিঘলিয়ার স্টার, আটরা শিল্প এলাকার আলীম, ইস্টার্ন ও নওয়াপাড়া শিল্প এলাকার জেজেআই, কার্পেটিং জুট মিলের শ্রমিকরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
শ্রমিক নেতারা বলেন, পাট মৌসুম শেষ হলেও অর্থ অভাবে পাট ক্রয় না করায় মিলগুলো বন্ধ এবং শ্রমিক, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেকার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া কখনোই দাবি বাস্তবায়ন হবে না। রাজপথে লড়াই করে এ দাবি আদায় করে নিতে হবে। শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে শ্রমিক আন্দোলন চলবে।
শ্রমিক-কর্মচারীদের সব পাওনা পরিশোধের জন্য বিজেএমসি কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহবান জানান তারা।
তারা আরো জানান, পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, বকেয়া মজুরি-বেতন পরিশোধ, জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের রোয়েদাদ ২০১৫ কার্যকর, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ ও গ্র্যাচুইটির অর্থ পরিশোধ, চাকরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারীদের পুনর্বহাল, সব মিলে সেটআপের অনুকূলে শ্রমিক-কর্মচারীদের শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ ও স্থায়ীসহ ৯ দফা দাবিতে লাল পতাকা মিছিল, ৭২ ঘণ্টা অবরোধসহ চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে পাটকল শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন বলেন, ৭ এপ্রিল ঢাকায় বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সবগুলো পাটকলের শ্রমিক নেতারা বৈঠক করবেন। সে বৈঠকে পরবর্তী আন্দোলনের ঘোষণা আসতে পারে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd